সরকারি খাদ্য মজুত জোরদার করতে ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ ক্ষেত্রে প্রতি কেজি চালের ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৪ টাকা ১ পয়সা।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ২০২৫–২৬ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় জরুরি চাহিদা ও জনস্বার্থ বিবেচনায় আন্তর্জাতিক বাজার থেকে মোট ৯ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমোদন আগেই দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এরই ধারাবাহিকতায় সরকারি খাদ্য মজুত বাড়ানো এবং বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখতে নতুন করে এই চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ উদ্দেশ্যে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে ছয়টি দরপত্র জমা পড়ে এবং সবগুলোই আর্থিক ও কারিগরি দিক থেকে গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হয়।
দরপত্র মূল্যায়ন শেষে টেন্ডার ইভ্যালুয়েশন কমিটির (টিইসি) সুপারিশ অনুযায়ী সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে নির্বাচিত হয় ভারতের বগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি প্রতি মেট্রিক টন ৩৫৯ দশমিক ৭৭ মার্কিন ডলার দরে চাল সরবরাহ করবে। এতে মোট ব্যয় হবে ১ কোটি ৭৯ লাখ ৮৮ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২২০ কোটি ৫ লাখ ৩৩ হাজার ২০৫ টাকার সমান। এই হিসাবে প্রতি কেজি চালের দাম দাঁড়াচ্ছে ৪৪ টাকা ১ পয়সা।
এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে ভারত ও পাকিস্তান থেকে মোট ১ লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন বাসমতি সেদ্ধ চাল কেনা হয় প্রতি কেজি ৪৩ টাকা ৫১ পয়সা দরে এবং পাকিস্তান থেকে ৫০ হাজার টন আতপ চাল কেনা হয় প্রতি কেজি ৪৮ টাকা ৩০ পয়সা দরে।