জনতা পার্টি বাংলাদেশের মহাসচিব ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে রাজধানীর রমনা মডেল থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানার আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই সঙ্গে তার ১০ দিনের রিমান্ডের বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ১১ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।
এদিন শওকত মাহমুদকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের রমনা জোনাল টিমের পরিদর্শক মো. আখতার মোর্শেদ তাকে কারাগারে আটক ও ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে পৃথক আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। একই সঙ্গে রিমান্ড শুনানির জন্য ১১ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়।
এর আগে গত রবিবার বিকেলে নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করে ডিবি পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরী বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাত করার জন্য অন্য দেশের গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট হিসেবে ৬ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশে আসেন। গত ১৩ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মিন্টো রোড এলাকায় প্রাডো গাড়িতে করে সন্দেহজনকভাবে ঘুরতে থাকেন।
তাকে দেখে সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ তার গাড়ি থামায়। কেন এখানে ঘোরাঘুরি করছেন জানতে চাইলে তিনি পুলিশকে কোনো উত্তর দিতে পারেননি। এজন্য তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয় এবং তার কাছে থেকে দুটি আইফোন জব্দ করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়।
এ মামলায় তিন দফায় এনায়েত করিমকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ডিবি পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর তার সহযোগী এস এম গোলাম মোস্তফা আজাদ, জাতীয় পার্টির রওশনপন্থী অংশের মহাসচিব কাজী মো. মামুনুর রশীদ ও যুব সংহতির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব রিফাতুল ইসলাম পাভেলকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।