বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ৭ ডিসেম্বর এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেনকে উদ্দেশ্য করে যে ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর বিবৃতি দিয়েছে, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং এ ধরনের রাজনৈতিক অনভিপ্রেত বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। এনসিপির মতে, জামায়াতের বিবৃতি বাস্তব তথ্যের পরিপন্থী, রাজনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘনকারী এবং জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা।
৬ ডিসেম্বর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে ন্যাশনাল প্রফেশনালস অ্যালায়েন্স (এনপিএ)-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আখতার হোসেন সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনাগুলো সম্পর্কে যে প্রমাণভিত্তিক মন্তব্য করেছেন, তা ছিল তথ্যসমৃদ্ধ ও অত্যন্ত দায়িত্বশীল।
২৭ নভেম্বর পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্বাচনী প্রচারণাকে ঘিরে সংঘর্ষের সময় গুলি চালানো তুষার মণ্ডল জামায়াতে ইসলামী–সম্পৃক্ত—এ তথ্য জেলা গোয়েন্দা পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছে এবং অস্ত্র-গুলিসহ তাকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। এমন স্পষ্ট প্রমাণ থাকার পরও বিষয়টি অস্বীকার করা সত্য গোপনের একটি অগ্রহণযোগ্য চেষ্টা বলে এনসিপি মনে করে।
এনসিপির দাবি, জামায়াতে ইসলামী ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে বিভাজন ও সহিংসতার রাজনীতি উসকে দিচ্ছে। ৫ আগস্ট–পরবর্তী নতুন রাজনৈতিক পরিবেশকে গ্রহণ না করে তারা পুরোনো সংঘাতমুখী ও আধিপত্যবাদী রাজনীতির পুনরাবৃত্তি ঘটানোর চেষ্টা করছে, যা দেশের জন্য সতর্কবার্তা।
এনসিপি বলছে, সহিংসতা, অস্ত্রের ব্যবহার এবং ধর্মীয় আবেগের অপপ্রয়োগ—কোনোটিই গণতান্ত্রিক চর্চার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। জাতীয় নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সব রাজনৈতিক দলকে দায়িত্বশীল আচরণ প্রদর্শন করতে হবে।
সবশেষে, এনসিপি জামায়াতে ইসলামীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সত্য, শান্তি ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পক্ষে সুস্পষ্ট অবস্থান গ্রহণের।