Image description
 

আমার দেশ কুমিল্লায জেলা প্রতিনিধি এম হাসানকে হত্যার হুমকি দিয়েছে এক অজ্ঞাত ব্যক্তি। এ ঘটনায় নিজের নিরাপত্তার স্বার্থে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তিনি।

 

সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাতে এম হাসানের ব্যক্তিগত হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে একটি অজ্ঞাত নম্বর থেকে ভয়েস মেসেজ ও ফটোকার্ড পাঠানো হয়। সেখানে শেখ হাসিনাকে নিয়ে প্রকাশিত রিপোর্টের জেরে তাকে জীবননাশের হুমকি দেয়া হয়।

 

ভয়েস মেসেজে অজ্ঞাত ব্যক্তি বলেন,

অডিও রেকর্ড বলা হয়-

হাসান সাহেব,

কেমন আছেন আপনি.?

আমার দেশ পত্রিকার কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি হাসান সাহেব বলছেন তো.?

আমাকে আপনি চিনবেন না, আমার পরিচয় আপনি জানতে পারবেন না, আমি জাস্ট আপনাকে ভয়েসটা পাঠাচ্ছি।

এই ভয়েসটা আপনার লাইফ নির্ধারণ করে দিবে, আপনি বেঁচে থাকবেন কি থাকবেন না, আপনার পরিবার বেঁচে থাকবে কি থাকবে না। আপনি অনেক দূর এগিয়ে গেছেন, তাতে আমার কোনো আপত্তি নাই, কিন্তু আপনি শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে রিপোর্টগুলো করছেন আমার দেশ পত্রিকায়, আপনার পত্রিকা থাকবে কিন্তু আপনি থাকবেন না।

আপনাকে লাস্ট ওয়ার্নিং দিচ্ছি, আপনি আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে নন, আপনাকে ‘লকেট’ করা হয়েছে, আপনার পরিবারসহ। আপনি যদি নেক্সট টাইম শেখ হাসিনাকে নিয়ে কোনো ‘মিথ্যা প্রোপাগান্ডা’ ছড়ান (নিউজ করেন), আপনাকে যে কোনো মুহূর্তে দুনিয়া থেকে নাই করে দিতে পারি।

এমনকি আপনার পরিবারসহ-আপনার পরিবারসহ। জমায়াত শিবিরের এজন্ডা হয়ে অনেক দূর, অনেক বাড়াবাড়ি করে ফেলতেছেন। আপনি সাংবাদিকতা করেন তাতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই, তবে সত্যটা তুলে ধরবেন। মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করবেন না। আপনার নিজের লাইফটাকেও ঝুঁকিতে ফেলবেন না, ভাল থাকবেন।

জয় বাংলা।

হুমকিদাতা আরও দাবি করে, এম হাসান ‘জমায়াত-শিবিরের এজেন্ডা’ বাস্তবায়ন করছেন এবং ‘টিম–৩’ নামে একটি দলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাকে ‘আড়ালে নেওয়ার’ জন্য।

ঘটনার পর এম হাসান বলেন,

‘আমি দীর্ঘদিন ধরে নির্ভীকভাবে সংবাদ পরিবেশন করছি। শেখ হাসিনাকে নিয়ে প্রকাশিত সত্যনিষ্ঠ প্রতিবেদনের জেরে আমাকে এবং আমার পরিবারকে হত্যা করার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সাহায্য চেয়েছি।’

এ বিষয়ে কুমিল্লা প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী এনামুল হক ফারুক বলেন,

‘এম হাসান সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করছেন। তাকে একটি মহল প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। পুলিশ দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের গ্রেপ্তার করবে বলে আমরা আশা করি।’

কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. নাজির আহমদ খান আমার দেশকে বলেন,

‘সাংবাদিকতা একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা। সাংবাদিক ও পুলিশ উভয়েই দায়িত্ব পালনের সময় বিভিন্নভাবে হুমকির মুখে পড়ে। অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’