রাজধানীর বক্সিবাজারে অবস্থিত সরকারি মাদ্রাসা-ই আলিয়া ঢাকার শিক্ষার্থীদের একাংশের একটি কর্মসূচিতে হামলা করে তা বানচালের অভিযোগ ওঠেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
তাদের হামলায় সাংবাদিকসহ ৮-১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনসহ বিভিন্ন আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থী ওমর ফারুক গুরুতর আহত হয়েছেন। এসময় কালের কণ্ঠ পত্রিকার সাংবাদিকের মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়া এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের ঢাকা আলিয়া প্রতিনিধি আরিফুল ইসলামের ওপরও হামলা করে আহত করার ঘটনা ঘটেছে।
আজ শনিবার (২২ নভেম্বর) রাতে মাদ্রাসার অভ্যন্তরে সম্পদ রক্ষা ছাত্র ঐক্য নামক এক প্লাটফর্মের কর্মসূচিতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সূত্রে জানা গেছে, মাদ্রাসার জমিতে থাকা ও সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক দখলকৃত দোকানগুলোর নিয়ন্ত্রণ মাদ্রাসাকে বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বেশকিছুদিন ধরে আন্দোলন করছেন। সেই প্রেক্ষিতে আজ সম্পদ রক্ষা ছাত্র ঐক্য দোকানগুলোর চারপাশে বেড়া দেওয়ার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবিতে কর্মসূচির আয়োজন করে। এ কর্মসূচিতে ছাত্রদল ও শিবিরের নেতাকর্মীরা বহিরাগতদের নিয়ে হামলা চালায়।
হামলার কারণ জানতে চাইলে মাদ্রাসাটির কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থী দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, ছাত্রদল দোকানগুলো থেকে চাঁদা পায়, আর শিবির পায় এয়ানত। যার কারণে, তারা চায়না যে দোকানগুলো তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাক। অর্থাৎ তারা চায়, মাদ্রাসা এই দোকানগুলোর নিয়ন্ত্রণ না নিক। কিন্তু শিক্ষার্থীরা চায় তাদের বিপরীত। যার কারণেই তাদের ওপর এ হামলা।
এর আগে, সম্প্রতি দোকানগুলো দখলমুক্ত করতে শিক্ষার্থী ও প্রশাসনের সঙ্গে ছাত্র সংগঠনগুলো ঐক্যমত্য পোষণ করে।