Image description
 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রবাসীদের 'কামলা' বলে কটাক্ষ করায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুর সড়ক ও জনপথ (সওজ) উপবিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলীর কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী আনিছুর রহমানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিষয়টি আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে মির্জাপুর সওজ এর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম মোল্লা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান তাঁকে সওজ এর প্রধান কার্যালয়ের ময়মনসিংহ জোন থেকে রাজশাহী জোনের আওতায় সিরাজগঞ্জে বদলি করা হয়েছে।

এর আগে সওজ এর টাঙ্গাইলের নির্বাহী প্রকৌশলী সিনথিয়া আজমিরী খান তাঁকে কারণ দর্শানোর চিঠি দেন। এতে সরকারি কর্মচারী হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরকারি বিধি অনুসরণ না করে আনিছুর রহমান নিয়মভঙ্গ করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ কারণে কেন তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হবে না তা আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়। আনিছুর রহমানের বাড়ি সখিপুর উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে।

সওজ সূত্র মতে, সখিপুর উপজেলার কচুয়া বাজার থেকে কুতুবপুর বাজার পর্যন্ত প্রায় আট কিলোমিটার সড়কের উন্নয়ন কাজ চলছে। যা তত্বাবধানের জন্য আনিছুর রহমানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সড়কটিতে নিম্নমানের হচ্ছে এমন কথা উল্লেখ করে আল মামুন নামের এক ব্যক্তি ফেসবুক লাইভে তুলে ধরেন। স্থানীয়রা রাস্তার কাজের মান নিয়ে তাতে বিভিন্ন মন্তব্য করেন। সেই মন্তব্যের সূত্র ধরে আনিছুর রহমান ফেসবুকে মন্তব্য করেন ‘বিদেশী কামলারাও যদি ইঞ্জিনিয়ার হয় তাহলে দেশের ১৮টা বাজবে।’ এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এছাড়া সখিপুরের প্রবাসীরা তাঁর শাস্তি দাবি করেন। এছাড়া বড়চওনা ইউনিয়নের প্রবাসীদের একটি সংগঠন আনিছুরের বিরুদ্ধে আজ শুক্রবার মানববন্ধনেরও ঘোষণা দেন। বিষয়টি সিনথিয়া আজমিরী খানের নজরে এলে তিনি বৃহস্পতিবার আনিছুর রহমানকে কারণ দর্শানোর চিঠি দেন।

এ বিষয়ে আনিছুর রহমান আজ সন্ধ্যায় বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমার মন্তব্যের বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছি।’ তিনি বলেন, রেমিটেন্স যোদ্ধাদের নিয়ে অশালীন মন্তব্যের বিষয়ে তিনি সবার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। তাছাড়া কারণ দর্শানোর চিঠি তিনি পেয়েছেন বলে স্বীকার করেন। এছাড়াও সিরাজগঞ্জে বদলির বিষয়টিও তিনি শুনেছেন বলে সাংবাদিকদের জানান।

মির্জাপুর সওজ এর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম মোল্লা বলেন, আনিছুর রহমানকে তাঁর ফেসবুকে মন্তব্যের জন্য তিন কর্মদিবসের মধ্যে চিঠির জবাব দেয়ার জন্য বলা হয়েছিল। এরই মধ্যে তাঁকে ময়মনসিংহ জোনের টাঙ্গাইল জেলা থেকে প্রত্যাহর করে রাজশাহী জোনের সিরাজগঞ্জে বদলি করা হয়েছে। তবে বদলি করা হলেও শোকজের জবাব দিতে হবে বলে জানান তিনি।