Image description
 

ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে অভিজ্ঞতার সঙ্গে তারুণ্যের মিশেলে তিনশ আসনে প্রার্থী দিতে চায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। আগামী ফেব্রুয়ারিকে নির্বাচনের মাস ধরে সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি। প্রার্থী বাছাইয়ে চলছে তৃণমূলে জনমত জরিপ। যেখানে পুরোনোদের সঙ্গে নতুনরাও পাল্লা দিচ্ছেন জনপ্রিয়তার দৌড়ে।

দলীয় সূত্রের তথ্য বলছে, জনমত জরিপে ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়া অধিকাংশ প্রার্থী নিজ এলাকার ভোটারদের কাছে জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছেন। তাদের অনেকে মনোনয়ন দৌড়েও এগিয়ে। এখন অপেক্ষা শুধু কেন্দ্রের সবুজ সংকেত পাওয়ার।

এবারের নির্বাচনে বড় ফ্যাক্টর হতে পারে নতুন ভোটাররা। সে বিষয়টি মাথায় রেখে অপেক্ষাকৃত তরুণ ও নতুন মুখ সামনে আনতে চায় বিএনপি। নতুন প্রজন্মের নেতৃত্ব তৈরি করতে প্রার্থী বাছাইয়ে অন্তত শতাধিক আসনে তারুণ্যের প্রাধান্য থাকতে পারে। যাদের একটি অংশ আবার পেশাগতভাবে আইনজীবী। সবকিছু ঠিক থাকলে আসন্ন নির্বাচনে তাদের হাতেও উঠতে পারে ধানের শীষ।

সম্ভাব্য এসব তরুণ প্রার্থীর অনেকে নিজ নিজ নির্বাচনি এলাকায় এরই মধ্যে মানুষের নজর কেড়েছেন। তাদের মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে বিএনপির ভেতরে-বাইরে। কেন্দ্র সিদ্ধান্ত দিলে নতুন মুখ হিসেবে এ তরুণদের অনেকেই আগামী নির্বাচনে প্রার্থী তালিকায় জায়গা করে নিতে পারেন।

 

 

দলীয় সূত্র বলছে, প্রতিটি আসনে একাধিক প্রার্থীকে টার্গেটে রেখেছে বিএনপি। এলাকায় জনপ্রিয় কোনো প্রার্থীর দলীয় কোন্দল বা অন্য কোনো কারণে প্রার্থিতা বাতিল হলে বিকল্প প্রার্থীকে যেন সামনে আনা যায় সেই পথ খোলা রাখতেই এ কৌশল নিচ্ছেন বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব। অন্যদিকে, তরুণ নেতৃত্বের হাতে আসন ছাড় দেওয়ার বিষয়ে মনোনয়নপ্রত্যাশী দলটির সাবেক এমপি ও প্রবীণ নেতাদের মধ্যে অস্বস্তি প্রকাশ্যে আসতে পারে—রয়েছে এমন আশঙ্কাও।

মাঠপর্যায় ও কেন্দ্রীয় সূত্রগুলোর তথ্যে জানা গেছে, প্রার্থী বাছাই, নির্বাচনি ইশতেহার তৈরি ও নির্বাচনী জোট গঠন—এ বিষয়গুলো সামনে রেখেই এগোচ্ছে বিএনপি। প্রার্থী মনোনয়নে প্রাধান্য পাবেন ত্যাগী, সৎ ও জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নেতারা। এবারও গুরুত্ব পাবে জনপ্রিয়তা ও জনমত জরিপের ফলাফল। তবে নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে প্রার্থী দেওয়ার বিষয়টি অনেকটাই চূড়ান্ত।

 

অন্যদিকে, নির্বাচনী এলাকায় জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা না থাকলে সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় প্রভাবশালী নেতা হলেও তাকে মনোনয়ন দেবে না বিএনপি। তবে প্রার্থী বাছাইয়ে এবার পেশাজীবী থেকে সুপ্রিম কোর্টের তরুণ আইনজীবী—এ ধরনের ব্যক্তিদের প্রাধান্য দেওয়া হতে পারে। যারা এরই মধ্যে মাঠের রাজনীতিতে আলোচনায় এসেছেন।

জানা গেছে, বিগত সময়ে সরকারবিরোধী আন্দোলন বা আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ চেয়ে রাজপথে সক্রিয় ছিলেন—বিএনপিপন্থি এরকম অনেক আইনজীবী আসন্ন নির্বাচনে মনোনয়ন পেতে চান। তাদের কেউ কেউ প্রাথমিকভাবে দলের ইতিবাচক সাড়াও পেয়েছেন। তারা এখন এলাকায় গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করছেন। স্থানীয় নেতৃত্বের সমন্বয়ে মাঠ গোছাচ্ছেন।

অপেক্ষাকৃত তরুণ ও নতুন মুখ সামনে আনতে চায় বিএনপি। নতুন প্রজন্মের নেতৃত্ব তৈরি করতে প্রার্থী বাছাইয়ে অন্তত শতাধিক আসনে তারুণ্যের প্রাধান্য থাকতে পারে। যাদের একটি অংশ পেশাগতভাবে আইনজীবী। সবকিছু ঠিক থাকলে আসন্ন নির্বাচনে তাদের হাতে উঠতে পারে ধানের শীষ

আসন্ন নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের মধ্যে রয়েছেন—দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মারুফ হোসেন, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম, আইনবিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী মো. কামরুল ইসলাম সজল, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মানবাধিকারবিষয়ক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার আবু সালেহ মো. সায়েম, দলের মানবাধিকার কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার ফজলুল করিম মন্ডল, অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুল, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুকনুজ্জামান সুজা, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবিদুল হক, ঢাকা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ইরফান ইবনে আমান অমি, গাজীপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ড. চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী, ব্যারিস্টার মাহাদীন চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রবিউল আলম (সৈকত), সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ সেলিম মিয়া, অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান তুহিন ও ব্যারিস্টার সালেহ আকরাম।

নেত্রকোনা-১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা): সংসদীয় এ আসনটিতে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হতে চান বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইনবিষয়ক সম্পাদক, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক নির্বাচিত সিনেট সদস্য। ছাত্রদলের বিভিন্ন পদে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি এই আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন। ২০১৮ সালেও তার হাতে ধানের শীষ তুলে দেওয়া হয়েছিল।

ঢাকা-১০ (ধানমন্ডি-নিউমার্কেট-কলাবাগান-হাজারীবাগ): এই আসন থেকে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম মনোনয়ন পেতে পারেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই ছাত্রনেতা বর্তমানে বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া): বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী মো. কামরুল ইসলাম সজল এ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসীন হল ছাত্র সংসদের এজিএস ও হল শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। দায়িত্ব পালন করেছেন সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের আইনজীবী ফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পদেও। জানা গেছে, অভ্যন্তরীণ কিছু কোন্দল থাকলেও তার ওপর আস্থা রাখছে তৃণমূল। তিনিও ঢাকা থেকে মাঝেমধ্যেই এলাকায় গিয়ে গণসংযোগ করছেন।

কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা): এ আসনে মনোনয়ন পেতে চান সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী। তার বাবা আব্দুর রউফ চৌধুরীর দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা ছিল। তিনি এ আসনের দুবারের এমপি ছিলেন। রাজনৈতিক জীবনে আব্দুর রউফ চৌধুরী ছিলেন নির্লোভ, সৎ ও সাদাসিধে মানুষ। তিনি ছিলেন সৎ, কর্মঠ ও সাহসী। বাবার আসনটি এবার নিজেদের ঘরে ফেরাতে চান ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী।

তিনি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির দপ্তর সম্পাদক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য।

ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমার বাবা তার জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। আমিও বাবার মতোই দলীয় সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে থেকে এলাকার মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন করতে চাই।’

প্রতিটি আসনে একাধিক প্রার্থীকে টার্গেটে রেখেছে বিএনপি। এলাকায় জনপ্রিয় কোনো প্রার্থীর দলীয় কোন্দল বা অন্য কোনো কারণে প্রার্থিতা বাতিল হলে বিকল্প প্রার্থীকে যেন সামনে আনা যায় সেই পথ খোলা রাখতেই এ কৌশল নিচ্ছেন বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব

নোয়াখালী-৪ (সুবর্ণচর-সদর): এ আসনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মানবাধিকারবিষয়ক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার আবু সালেহ মো. সায়েমের নাম এলাকার জনগণের মুখে মুখে ফিরছে।

জানতে চাইলে ব্যারিস্টার সায়েম জাগো নিউজকে বলেন, ‘এলাকার রাজনীতিতে নতুন কিছু করে মানুষের মন জয় করতে চাই। মিথ্যা আশ্বাসের বদলে কথা ও কাজে মিল আছে এমন রাজনৈতিক পরিবর্তনের জন্য কাজ করছি। দল মনোনয়ন দিলে নির্বাচন করবো। মনোনয়ন না দিলেও আজীবন দলের নির্দেশনায় কাজ করবো।’

কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি ও মেঘনা): এ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হতে চান বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. খন্দকার মারুফ হোসেন। তিনি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সন্তান। বিএনপি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ একাধিক মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন কুমিল্লা-২ আসন থেকে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

গাজীপুর-১ (কালিয়াকৈর-সিটি করপোরেশনের আংশিক): বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর ছেলে গাজীপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ড. চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী এ আসন থেকে মনোনয়ন পেতে চান।

ড. চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী জাগো নিউজকে বলেন, ‘চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আমরা নির্বাচনের বাইরে কিছু ভাবছি না। আবার যেনতেন নির্বাচনের কথাও ভাবছি না। শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবি বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত করতে আমরা অবিচল ও ঐক্যবদ্ধ।’

গাজীপুর-৩ (শ্রীপুর-সদর একাংশ) বিএনপির মানবাধিকার কমিটির সদস্য সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ফজলুল করিম মন্ডল এ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন পেতে আগ্রহী। তিনি এলাকায় দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচি, সভা-সমাবেশ, সামাজিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত। এছাড়া বরাবরই আন্দোলন-সংগ্রামে মাঠে থাকা বিএনপি নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছেন।

নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া): সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুল এই আসন থেকে ধানের শীষের টিকিট পেতে চান। তিনি এলাকায় নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন। অ্যাডভোকেট ফারজানা বিএনপির কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিটির সদস্য এবং দলটির মিডিয়া সেলেরও সদস্য।

জানতে চাইলে ফারজানা শারমিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমার বাবা প্রয়াত ফজলুর রহমান পটল ওই আসন থেকে চারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং পরে মন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হন। তিনি দেশের উত্তরাঞ্চলকে বিএনপির রাজনৈতিক দুর্গ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। আমি তার কন্যা। আমি নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুত। দল মনোনয়ন দিলে নির্বাচন করবো।’

টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর ধনবাড়ী): জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবী প্যানেলের সদস্য অ্যাডভোকেট রুকনুজ্জামান সুজা এ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হতে চান।

নির্বাচনি এলাকায় জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা না থাকলে সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় প্রভাবশালী নেতা হলেও তাকে মনোনয়ন দেবে না বিএনপি। তবে প্রার্থী বাছাইয়ে এবার পেশাজীবী থেকে সুপ্রিম কোর্টের তরুণ আইনজীবী—এ ধরনের ব্যক্তিদের প্রাধান্য দেওয়া হতে পারে। যারা এরই মধ্যে মাঠের রাজনীতিতে আলোচনায় এসেছেন

বিএনপির এই মনোনয়নপ্রত্যাশী জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে মাঠে ছিলাম। কেন্দ্রঘোষিত শান্তিপূর্ণ হরতাল ও অবরোধসহ সব আন্দোলন-সংগ্রামে আইনজীবী ও এলাকার মানুষদের সঙ্গে নিয়ে রাজপথে ছিলাম। আমার নির্বাচনী এলাকার যেসব নেতাকর্মী কারাগারে ছিলেন তাদের মুক্ত করে আন্দোলনে সম্পৃক্ত করতে আইনি সহায়তা দিয়ে আসছি। দেশে সুস্থ ও গণতান্ত্রিক ধারা ফিরে আসছে, আশা করি দল যোগ্য ও গ্রহণযোগ্য প্রার্থীকে নমিনেশন দেবে।’

ঢাকা-২ (কেরানীগঞ্জ): আসনটিতে ঢাকা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ইরফান ইবনে আমান অমি ধানের শীষের কান্ডারি হতে আগ্রহী। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমানের ছেলে। বাবার সাজা হওয়ায় ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তিনি এ আসনে বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন। এবারও তিনি নির্বাচনি এলাকায় গণসংযোগ করছেন।

রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী): সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন এ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি।

ব্যারিস্টার মাহফুজুর জাগো নিউজকে বলেন, ‘রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন প্রয়োজন। গণতন্ত্রহীনতা, মানবাধিকার লঙ্ঘন আর বিচারহীনতার এই সময়ে আলোর মশাল নিয়ে দৃঢ় প্রত্যয়ে পরিবর্তনের আন্দোলনে নেমেছিলাম। আমরা নির্বাচন করার ব্যাপারে প্রস্তুত।’

সুনামগঞ্জ-৪ (বিশ্বম্ভরপুর-সদর): সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবিদুল হক এ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নে নির্বাচন করতে চান। তিনি বর্তমানে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি সহ-মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক ও সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য।

ব্যারিস্টার আবিদুল হক জাগো নিউজকে বলেন, ‘হামলা-মামলায় জর্জরিত দলের নেতাকর্মীদের দীর্ঘদিন ধরে আইনি সহায়তা দিয়ে আসছি। আমার বাবা প্রয়াত ফজলুল হক আছপিয়া এ আসন থেকে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি গণমানুষের নেতা ছিলেন। দল চাইলে আমি এ আসন থেকে ভোটে লড়তে প্রস্তুত।’

কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর): আসনটি বিএনপির অর্ধডজনের বেশি নেতা মনোনয়নপ্রত্যাশী। তবে, জেলা বিএনপির সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আতিকুর রহমান এ দৌড়ে এগিয়ে থাকতে পারেন বলে জানা গেছে। দলীয় সমর্থনের জন্য এলাকায় গণসংযোগ, সামাজিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

 

কিশোরগঞ্জ-২ (সদর-কটিয়াদি) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেতে চান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আশরাফ জালাল খান (মনন)। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ঢাকা মহানগর বারের সভাপতি। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ আইন সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক পদের দায়িত্ব পালন করেছেন।