Image description

দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধ অপপ্রচার না চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের রক্ষক হিসেবে আমরা যাদের মনে করি, সেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ আদালতের প্রক্রিয়ায় সাহায্য করেছে। আসামিদের গ্রেফতার করে হাজির করার বিষয়ে সেনাবাহিনী সাহায্য করেছে। সুতরাং দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধ যারা অপপ্রচার করছেন তাদের বলব, অপপ্রচার করবেন না।’ বুধবার (২২ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনাল থেকে বের হয়ে চিফ প্রসিকিউটর এসব কথা বলেন।

মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘যাদের হাজির করা হয়েছিল তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আর পলাতকদের এক সপ্তাহ সময় দিয়ে হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গুমের দুই মামলায় শুনানির পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ নভেম্বর।’

আসামিদের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘ট্রাইব্যুনালের আইন অনুযায়ী কারও বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল হলে তিনি চাকরিতে নেই বলে গণ্য হবেন।’ তাদের কোন কারাগারে রাখা হবে? এই প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘কারা কর্তৃপক্ষ তাদের কোথায় রাখবে, সেটা তাদের বিষয়। আদালতের কাজ হচ্ছে কাস্টডিতে পাঠিয়ে দেয়া।’

 

এদিকে আসামিদের আইনজীবী এম সারোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা কখনোই গ্রেপ্তার ছিলেন না। আর্মি আইন অনুযায়ী তারা অ্যাটাচ ছিলেন এবং তারা শুরু থেকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তারা ট্রায়াল ফেস করতে চান। তারা এই অপরাধ সংঘটিত করেন নাই। একজন আইজিপি এখানে অ্যাপ্রুভার (রাজসাক্ষী)। তিনি বলেছেন, যা কিছু হয়েছে তা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং শেখ হাসিনার নির্দেশে হয়েছে। এখানে কারও কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না। তাঁদের এই ঘটনার ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না।’

 

তাদের কোন কারাগারে পাঠানো হয়েছে? এ প্রশ্নের জবাবে সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘যে সাবজেল ঘোষণা করা হয়েছে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে, সেইখানে নেওয়া হবে বলে আমরা জেনেছি।’