
আওয়ামী লীগের শাসনামলে গুম-খুনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের তিন মামলায় অভিযুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তা যে সাব-জেলে (অস্থায়ী কারাগার) আছেন, সেটি কারা কর্তৃপক্ষের পূর্ণ তত্ত্বাবধানে থাকবে বলে জানিয়েছেন কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন।
বুধবার কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন সংবাদমাধ্যমে এ তথ্য জানান।
আইজি প্রিজন আরও বলেন, “সাব-জেলও কারাগারেরই অংশ। তাই এখানেও একই নিয়মে সব কিছু পরিচালিত হবে। বন্দিদের নিরাপত্তার জন্য কারারক্ষী ও কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বাইরে থেকে কেউ দেখা করতে চাইলে বা খাবার দিতে চাইলে, সেটি নিয়ম অনুযায়ী অনুমতি ও পরীক্ষার পরেই দেওয়া হবে।”
এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আদেশে বুধবার আওয়ামী লীগের দেড় দশকের শাসনামলে গুম-খুনের মাধ্যমে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হেফাজতে থাকা ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির করা হলে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে তাদের ঢাকা সেনানিবাসের বাশার রোডে অবস্থিত সাব-জেলে নেওয়া হয়।
কারাগারে পাঠানো ১৫ সেনা কর্মকর্তারা হলেন- র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (অবসরকালীন ছুটিতে), র্যাব গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লে. কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, লে. কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম, লে. কর্নেল মো. রেদোয়ানুল ইসলাম (বিজিবি), মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম (বিজিবি), মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন (ডিজিএফআই), ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী (ডিজিএফআই), ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী (ডিজিএফআই)।
এর আগে গত ১১ অক্টোবর সেনা সদরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অভিযোগপত্রে নাম থাকা ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এরপর ১২ অক্টোবর সরকার ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে সাময়িক কারাগার ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে, যা ১৩ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কারা-১ শাখা থেকে নিশ্চিত করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮-এর ৫৪১(১) ধারা এবং The Prisons Act, 1894-এর ৩(বি) ধারা অনুযায়ী, ঢাকা সেনানিবাসের বাশার রোড সংলগ্ন 'এমইএস' বিল্ডিং নং-৫৪-কে সাময়িকভাবে কারাগার হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তবে ভবনটি কোন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হবে, তা প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়নি।
(ঢাকাটাইমস