Image description
 
 
 

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুব বিষয়ক সহ সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী বলেছেন, তার জানা মতে, এনসিপি এবং চারটি বাম রাজনৈতিক দল স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যেতে পারেনি। তিনি বলবেন না, তারা স্বাক্ষর করেনি। স্বাক্ষর করার সুযোগ উন্মুক্ত আছে। আশা করি, তারা ভবিষ্যতে সনদে স্বাক্ষর করবেন।

 

তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনের জন্য এটা বড় কোনো প্রভাব ফেলবে না। আমরা মনে করি, সহনশীলতা সবার মধ্যে আসবে। হয়তো তাদের কিছু দাবি-দাওয়া আছে। সেটা সরকারের সঙ্গে আলাপ করবে। একপর্যায়ে তারাও জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। আর গণতন্ত্রের মধ্যে তো সবাই একমত হবে এমন তো নয়। সেটা উন্মুক্ত আছে। ভিন্ন মত থাকতেই পারে।

বুধবার (২২ অক্টোবর) রাজধানী কামরাঙ্গীরচর ৫৭ নং ওয়ার্ড লোহার ব্রিজের ঢালে ৩১ দফা লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে মীর নেওয়াজ আলী বলেন, আমরা ধৈর্য, সহনশীলতা ও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির চর্চার মধ্য দিয়ে যেন এগিয়ে যাই। তাহলে সত্যিকার অর্থে একটি কার্যকর শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণ করতে পারবো। আমাদের শহীদের আত্মত্যাগ এবং রক্তদান সফল হবে।

 

জুলাই সনদ স্বাক্ষরের ঐতিহাসিক দিন পুলিশের সঙ্গে ‘জুলাইযোদ্ধাদের’ সংঘর্ষ হয়েছে। যোদ্ধারা বলেছেন, জুলাই সনদের মধ্যে তাদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়নি—এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘জুলাইযোদ্ধা’ নামে একটি সংগঠন আমাদের সঙ্গেও কথা বলেছিল। ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে কথা বলেছে। তাদের একটা যৌক্তিক দাবি ছিল। সেই যৌক্তিক দাবিটা পূরণের জন্য আমি নিজেও স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম, কথা বলেছিলাম। এবং সেটা ঐকমত্য কমিশনের কয়েকজন সঠিকভাবে অ্যাড্রেস করেছেন, সেটা প্রেসে বলেছেন এবং সংশোধন করেছেন। এরপরেও তাদের অসন্তোষ থাকার কথা নয়। যে সমস্ত বিশৃঙ্খলা হয়েছে আমরা খোঁজ নিয়েছি। এটা তদন্তাধীন আছে। দেখা গেছে, এখানে ‘জুলাইযোদ্ধাদের’ নামে কিছু সংখ্যক ছাত্র নামধারী, কিছু সংখ্যক উচ্ছৃঙ্খল লোক ঢুকেছে। সেটা ফ্যাসিস্ট সরকারের ফ্যাসিস্ট বাহিনী বলে আমি মনে করি।

 

তিনি বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট বাহিনী এখনো সমস্ত জায়গায়, বিভিন্ন ফাঁক-ফোকরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে, সেটা গত একদিনেও দৃশ্যমান হয়েছে। আমার মনে হয়, এখানে এটির সঙ্গে কোনো সঠিক ‘জুলাইযোদ্ধা’ বা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত কোনো সংগঠন অথবা কোনো ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির জ্যেষ্ঠ সদস্য ২৮ নং ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার আনোয়ার পারভেজ বাদল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও ২৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার মীর আশরাফ আলী আযম, ২৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার আব্দুল আজিজ, বৃহত্তর লালবাগ থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মোতাহার হোসেন বাবুল, বৃহত্তর লালবাগ থানা বিএনপির সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাফেজ মনির হোসেন, ২৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি গোলাম সারওয়ার শামীম, ২৫ নং ওয়ার্ডের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাইজুদ্দিন মাইজু, ২৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক প্রচার সম্পাদক গোলাম মোস্তফা পিয়ার, ২৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোরশেদুর রহমান জনি, ২৬ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক তারেক হোসেন রাজু, আজিমপুর বটতলা ইউনিট বিএনপির সভাপতি আরমান হোসেন বাদল, চক বাজার থানা বিএনপি নেতা মাসুম হোসেন ভূঁইয়া, কোতোয়ালি থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক কাউসার আহাম্মদ জজ, মাহবুব রহমান পিচ্চু, রমজান, হাজী রফিকুল ইসলাম রফিক, ২৫ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের ইয়াকিন হোসেন হৃদয়সহ তাঁতী দল, শ্রমিক দল, কৃষক দল, মৎস্যজীবী দল, লালবাগ, চকবাজার ও কামরাঙ্গীরচর থানা সহ আরো অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।