Image description
 

গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান অভিযোগ করেছেন, বিচারের নামে লোক দেখানো খেলা চলছে। যেখানে আইন উপদেষ্টা বলেছেন, হয়তো আমরা হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে পারব না। তার মানে হাসিনার বিচার তো হচ্ছে না। হাসিনার বিচার যদি না হয়, তাহলে কিসের বিচার করবেন? কার বিচার করবেন? বিচারের নামে প্রহসন চলছে।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকালে ঝিনাইদহ জেলা শহরের একটি রেস্টুরেন্টে গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রাশেদ খান অভিযোগ করে বলেন, যারা হাসিনা সরকারের সুবিধাভোগী ছিল, তারা এখন অন্তর্বর্তী সরকারের সুবিধাভোগী। পবির্তন কিছুই হয়নি। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে আমরা এমন প্রত্যাশা করিনি।

তিনি বলেন, হাসিনা যা রেখে গিয়েছিল তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) তা দিয়ে দেশ চালাচ্ছেন। এভাবে কি মুজিববাদী চেতনার বিনাশ হবে? আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিনাশ হবে? কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

সরকারি চাকরিজীবীদের প্রসঙ্গ তুলে ধরে রাশেদ বলেন, ১৬ বছর ধরে বিএনপি জামায়াতের তকমা দিয়ে যে সব কর্মকর্তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে এই সরকার তাদের আরও বেশী বঞ্চিত করেছে। যারা আওয়ামী লীগের আমলে সুবিধাভোগী ছিল তারা এ আমলে আরও বেশি সুবিধাভোগী। এর অন্যতম কারণ যাদের বঞ্চিত করা হয়েছে তাদের সুযোগ দিলে বৈধভাবে এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে, উপদেষ্টাদের কথা শুনবে না। সুতরাং আওয়ামী লীগের যারা আছে তাদের ভয় দেখিয়ে কাজ করাতে হবে। আর এ কারণে দেশের কোনো পরির্বতন হয় নাই।

রাশেদ খান বলেন, কোনো কোনো উপদেষ্টা বলেছেন, হাসিনার বিচার না করে ক্ষমতা ছাড়ার কোনো সুযোগ নাই। হাসিনার বিচার করতে হলে- তো হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। ওবাইদুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামালকে ফিরিয়ে আনতে হবে। যারা গডফাদার ছিল তাদের ফিরিয়ে এনে ফাঁসির কাষ্টে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে; কিন্তু এক বছরে লোক দেখানো খেলা হয়েছে। বিচারের নামে প্রহসন করা হচ্ছে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে রাশেদ বলেন, আমরা সরকারের ওপর আস্থা রাখছি কিন্তু পুরোপুরি রাখা যাবে না। নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। যত দিন পর্যন্ত নির্বাচনের সুস্পষ্ট তারিখ না পাচ্ছি তত দিন আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় মাঠে থাকতে হবে। সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচনের জন্য ১৪ সাল ১৮ এবং ২৪ সালে যারা ইউএনও ডিসি এসপি ছিল তাদের বিচার দ্রুত করতে হবে। কিন্তু আপনারা (অর্ন্তবর্তী সরকার) সেটি করতে পারেননি।

 

দলের জেলা সভাপতি প্রভাষক সাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সদর উপজেলা শাখার সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, যুব অধিকার পরিষদের নেতা রাকিব আসানসহ অনেকে।