Image description

জেলার কানাইঘাটের সীমান্তবর্তী ভারতের মেঘালয় রাজ্যের উখিয়াং এলাকায় বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি আব্দুর রহমানের (২৫) লাশ তিন দিনেও
ফেরত দেয়া হয়নি। সেখানে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ ফেরত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে  ভারতীয় পুলিশ। আব্দুর রহমান মহিষ আনতে দেশটিতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন। 

কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া আক্তার বলেছেন, ‘আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর আব্দুর রহমানকে ভারতীয় পুলিশ ফেরত দেবে।”

তিনি বলেন, “যেহেতু আব্দুর রহমানের লাশ সীমান্তের ওপারে পড়েছিল, সেহেতু ভারতীয় পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভারতীয় পুলিশ লাশ ফেরত দেয়ার জন্য বিজিবিকে জানাবে। পরে দুদেশের বৈঠকের মাধ্যমে লাশ ফেরত আনা হবে।’

তবে ময়নাতদন্তের পর আব্দুর রহমানের লাশ ভারতের একটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।

আব্দুর রহমান কানাইঘাট উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বড়চাতল গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে। গত শুক্রবার (২৯ আগস্ট) জুমার নামাজ পড়ে কানাইঘাটের সীমান্তবর্তী বড়চাতল গ্রামের আব্দুর রহমান ও তার সঙ্গে থাকা আরো ৫ থেকে ৬ জন অবৈধভাবে ভারতের মেঘালয়ে রাজ্যে অনুপ্রবেশ করেন। সেখান থেকে বিকেলের দিকে কয়েকটি মহিষ নিয়ে বাংলাদেশে ফেরার পথে ভারতের বিএসএফ তাদের ওপর গুলি চালায়। এ সময় আব্দুর রহমানের সঙ্গে থাকা অন্যরা আহত অবস্থায় ফিরে আসলেও আব্দুর রহমান গুলিবিদ্ধ হয়ে ভারতের অভ্যন্তরে নিহত হয়।

শনিবার (৩০ আগস্ট) বাংলাদেশ সীমান্তের ১৩৩৯ নম্বর পিলারের ভারতের অভ্যন্তরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। তারা ঘটনাটি আটগ্রাম বিজিবি ক্যাম্পকে জানান।

এরপর লাশ ফিরিয়ে আনার জন্য ভারতের বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে তিন দফা পতাকা বৈঠক হলেও ফেরত দেয়নি বিএসএফ।

শীর্ষনিউজ