
'পাথরকাণ্ডে বিতর্কিত পুলিশ কর্মকর্তাদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে' মানবজমিনের শিরোনাম। খবরে বলা হচ্ছে, সিলেটের সাদাপাথর কাণ্ডে এবার 'বিতর্কিত' পুলিশ কর্মকর্তাদের সিলেট থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে একেক করে তাদের বদলির আদেশ আসছে।
এর আগে সাদাপাথর লুটের ঘটনার পর সিলেটের মাঠ পর্যায়ের ২২ পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যের বদলি করা হয়েছিল। রোববার এসেছে কোম্পানীগঞ্জ থানা ওসি উজায়ের আল মাহমুদ আদনানের আদেশ। গোয়াইনঘাট থানার ওসি সরকার তোফায়েল আহমদও সিলেট থেকে চলে যাচ্ছেন।
গত ৮ মাসে সিলেটে রেকর্ড সংখ্যক পাথর ও বালু লুটের ঘটনা ঘটে। আর এসব লুটের ঘটনায় সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসে পুলিশের কর্মকাণ্ড। গোয়াইনঘাটের পূর্ব জাফলং ও মধ্য জাফলং বিটের দুই সাব-ইন্সপেক্টর উৎসব কর্মকার ও ওবায়দুল্লাহ ছিলেন আলোচনার শীর্ষে। তারা গত ২৫শে আগস্ট এক আদেশে বদলি হয়েছেন।
তবে সাদাপাথর লুটের ঘটনার পর দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের যে তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে সেখানে দেখা গেছে; পাথরকাণ্ডে সিলেটের ডিসি ও এসপি টাকার ভাগ পেতেন। এ ছাড়া কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাটের পুলিশের কর্মকর্তারাও এতে জড়িত। এরপর থেকে পুলিশের ভেতরে অস্থিরতা বিরাজ করছিল বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা।
'বিনিয়োগের জন্য নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে স্থানীয় উদ্যোক্তারা' বণিক বার্তার শিরোনাম। খবরে বলা হচ্ছে, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নাজুক। চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটছে অহরহ। পাশাপাশি রয়েছে প্রশাসনিক জটিলতা। এমন পরিস্থিতিতে বড় ধরনের বিনিয়োগের ঝুঁকি নিচ্ছেন না স্থানীয় উদ্যোক্তারা।
তারা বলছেন, সবকিছুর কোনো টেকসই সমাধান হবে এমন উচ্চাশা না থাকলেও বিনিয়োগের জন্য তারা নির্বাচনের দিকেই তাকিয়ে আছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী নির্বাচন হতে এখনো প্রায় ছয় মাস বাকি। এ সময়ের মধ্যে দেশে বিনিয়োগ স্থবিরতা কাটার কোনো আশা দেখছেন না সংশ্লিষ্টরা।
স্থানীয় উদ্যোক্তাদের দাবির প্রতিফলন পাওয়া যাচ্ছে শিল্প খাতে মেয়াদি ঋণ বিতরণ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানেও। গতকাল প্রকাশিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উইকলি সিলেক্টেড ইকোনমিক ইন্ডিকেটরস অনুযায়ী, গত অর্থবছরের (২০২৪-২৫) জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে শিল্পে মেয়াদি ঋণ বিতরণ ছিল গত সাত প্রান্তিকের মধ্যে সর্বনিম্ন।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে শিল্পে মেয়াদি ঋণ বিতরণের পরিমাণ ছিল ২৬ হাজার ১৯৪ কোটি টাকা। এরপর অক্টোবর-ডিসেম্বরে ভালো প্রবৃদ্ধি হয়ে ঋণ বিতরণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৩ হাজার ৭৬৩ কোটির টাকায়। কিন্তু এরপর জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে ঋণ বিতরণে পতন ঘটে।
ওই প্রান্তিকে ঋণ বিতরণ হয় ২২ হাজার ১৫ কোটি টাকা। যদিও এরপর ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শেষ অর্থাৎ এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে ঋণ বিতরণ বেড়ে হয় ২৪ হাজার ৯৭২ কোটি টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ঋণ বিতরণ আবারো হ্রাস পায়।
প্রান্তিকে মেয়াদি ঋণ বিতরণ হয় প্রায় ২৩ হাজার ১১৭ কোটি টাকা। উল্লেখ করা যায় যে এ সময় পর্বে দেশে জুলাই অভ্যুত্থানকেন্দ্রিক অস্থিরতা ছিল। এরপর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে ঋণ বিতরণ আবারো বেড়ে হয় ৩৩ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা। কিন্তু এ ঋণ প্রবৃদ্ধি স্থায়ী হয়নি।
'দেশজুড়ে হত্যা-অপমৃত্যু বাড়ছেই: বিএনপি ও আ. লীগ নেতাসহ ছয় জেলায় ৯ জনকে হত্যা' কালের কণ্ঠের শিরোনাম। খবরটিতে বলা হচ্ছে, নেত্রকোনায় বিএনপি নেতা, যশোরে আওয়ামী লীগ নেতা, রাজধানীতে ছিনতাইকারী সন্দেহে এক তরুণসহ ছয় জেলায় ৯ জনকে হত্যা করা হয়েছে।
এ ছাড়া মুন্সীগঞ্জে সেপটিক ট্যাংকে তিন শ্রমিকের লাশ, নরসিংদীর মনোহরদীতে আরো এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া নেত্রকোনার দুর্গাপুরে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ঢাকার মোহাম্মদপুরে ছিনতাইকারী সন্দেহে এক তরুণকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত তরুণ সাজ্জাদ হোসেন (১৯) ভোলার লালমোহন থানার গজারিয়ার বাসিন্দা।
এদিকে নেত্রকোনা সদর উপজেলার মৌগাতী ইউনিয়নে দুই ঘণ্টার ব্যবধানে হামলা-পাল্টাহামলায় সাবেক ইউপি সদস্য বিএনপি নেতাসহ দুজন নিহত হয়েছেন। গত শনিবার রাতে মৌগাতি ইউনিয়নের জামাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, সাবেক ইউপি সদস্য ও স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপি নেতা দোজাহান মিয়ার কাছ থেকে একই এলাকার আমজাদ প্রায় দুই বছর আগে জমি বিক্রির কথা বলে পাঁচ লাখ টাকা নেয়। এ নিয়ে আমজাদের সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে দোজাহানের বিরোধ চলছিল।
গত শনিবার রাত ৮টায় নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সম্মেলন শেষে বাড়ি ফেরার পথে গ্রামের রাস্তায় প্রতিপক্ষ ধারালো দা দিয়ে দোজাহানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রাস্তায় ফেলে চলে যায়।
যশোরের মণিরামপুর উপজেলায় চায়ের দোকানে বসে কথা বলার সময় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে আশরাফুল ইসলাম (৪০)নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা নিহত হন। গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় রাজগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্রামবাসীদের সংর্ঘষের খবরটি বাংলাদেশের প্রায় সব কয়টি পত্রিকার শিরোনাম হয়েছে। এ নিয়ে সমকালের শিরোনাম 'শিক্ষার্থী-গ্রামবাসী সংঘর্ষে আহত দেড় শতাধিক'।
খবরে বলা হচ্ছে, কারও মাথায় কোপ, কারও শরীর রক্তাক্ত। ক্ষতবিক্ষত শিক্ষার্থীর মাথা চেপে সঙ্গীরা ছুটছেন ক্যাম্পাসের স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দিকে। কেউ রিকশায়, কেউ অ্যাম্বুলেন্সে। সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের পাঠানো হচ্ছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। গতকাল রোববার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি ছিল এমনই ভীতিকর।
এর আগে শনিবার মধ্যরাতে 'ভাড়া বাসার দারোয়ান এক ছাত্রীকে মারধর করেছে'এমন অভিযোগে পাশের জোবরা গ্রামের বাসিন্দার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘাতের সূত্রপাত হয়।
এর জের ধরে গতকাল বিকেল ৩টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রামদা,কিরিচসহ দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে কিছু গ্রামবাসী।
শিক্ষার্থীদের হাতে হকিস্টিক, লাঠিসোটা দেখা গেছে। এতে উপ-উপাচার্যসহ দুই পক্ষের দেড় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। এর মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা চেয়েও পাওয়া যায়নি। এ কারণে শিক্ষার্থীরা বেশি আহত হয়েছেন। তবে পুলিশ বলছে, সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। হাজার হাজার গ্রামবাসী ও শিক্ষার্থীর উপস্থিতির কারণে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয়েছে।

'ডাকসুতে বিগত ৫৪ বছরে নির্বাচন মাত্র ৭ বার' প্রথম আলোর শিরোনাম। খবরে বলা হচ্ছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ১০৪ বছর আগে, ১৯২১ সালে। আর বিশ্ববিদ্যালয়টির কেন্দ্রীয় ছাত্র ইউনিয়নের প্রথম ভোট হয় ১৯২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে। সেই থেকে ১০০ বছরে ছাত্র সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে মাত্র ৩৭ বার। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ৫৪ বছরে নির্বাচন হয়েছে সবচেয়ে কম, মাত্র সাতবার।
বিগত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশক পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদগুলো গঠনতন্ত্র অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিতর্ক, আবৃত্তি, রচনা ও অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজন এবং নানা ধরনের প্রকাশনা বের করার কাজই বেশি করেছে।
ষাটের দশকেও এসব হয়েছে। তবে ষাটের দশকের শুরুতে শিক্ষা আন্দোলন, আইয়ুব খানের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন ও উনসত্তরের গণ- অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে ডাকসুর ও বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের রাজনৈতিক ভূমিকাই বড় হয়ে দেখা দেয়।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের পর ছাত্ররাজনীতিতে দলীয় প্রভাব বাড়তে থাকে। ১৯৯১ সালে নতুন করে গণতন্ত্রে ফেরার পর ডাকসুর নির্বাচনই বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় তিন দশক পর সর্বশেষ ২০১৯ সালে এক দ?ফা ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন হয়েছিল। তবে বিতর্কিত সেই নির্বাচনের পর ডাকসু ও হল সংসদ কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা রাখতে পারেনি।
ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের শিরোনাম 'Yunus promises election on time'. খবরে বলা হচ্ছে, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গতকাল আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ১৩তম জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
গতকাল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় (এখন প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন) বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির সঙ্গে পৃথক বৈঠকে ইউনূস এই আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম।
বৈঠকে জামায়াত ও এনসিপি নির্বাচনের চেয়ে জুলাই মাসের সনদ বাস্তবায়নকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য চাপ দিয়েছে। বিতর্কিত নির্বাচনকে বৈধতা দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারকে সহায়তা করার অভিযোগ এনে জাতীয় পার্টির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে তারা।
তবে বিএনপি বলেছে, ঘোষিত সময়সীমার মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে এবং পেছানোর কোন সুযোগ নেই।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপি উদ্বিগ্ন যে একটি গোষ্ঠী নির্বাচন বিলম্বিত করে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য কাজ করছে। তবে সেই সম্ভাবনা নেই। ঘোষিত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান উপদেষ্টাও একই কথা বলেন।
ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের শিরোনাম 'Parties divided over JP ban'. ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের সাবেক মিত্র জাতীয় পার্টির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত কিনা তা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মতামত প্রকাশ করেছে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি।
গতকাল রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসরে সঙ্গে এই তিন দলের নেতাদের মধ্যে পৃথক বৈঠকে বিষয়টি উঠে আসে।
জামায়াত বলেছে ,আওয়ামী লীগের সাথে জাতীয় পার্টির ঘনিষ্ঠ জোটের কারণে তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা যেতে পারে। অন্যদিকে এনসিপি আরও এগিয়ে গিয়ে জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে অবিলম্বে এবং সিদ্ধান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে। এর মধ্যে দলটির সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করার কথা রয়েছে।
তবে বিএনপি ভিন্ন অবস্থান নিয়ে জানিয়েছে তারা কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয়। বৈঠক সূত্র অনুসারে, দলটি যুক্তি দিয়েছে যে এই ধরনের পদক্ষেপ দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানে সহায়তা করবে না।
ঢাকার বিজয়নগরে জাপা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর এবং অন্যান্য দলীয় নেতারা জাপা কর্মীদের সাথে সংঘর্ষে আহত হওয়ার পর দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি ওঠে।

যুগান্তরের শিরোনাম 'উচ্চসুদে পৌনে দুই বিলিয়ন ডলার ঋণ নিচ্ছে সরকার'। খবরটিতে বলা হচ্ছে, ব্যাংক খাত সংস্কারসহ সাতটি প্রকল্প বাস্তবায়নে উচ্চসুদে (অনমনীয়) পৌনে দুই বিলিয়নের বেশি মার্কিন ডলার ঋণ নিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ ঋণের অঙ্ক দেশি মুদ্রায় প্রায় ২২ হাজার ৭০৯ কোটি টাকা (১ ডলার সমান ১২২ টাকা)।
এই ঋণের মধ্যে চীনের 'নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি)' থেকে প্রথমবারের মতো ঋণ নেওয়া হচ্ছে ৩২ কোটি ডলার। বিদেশ থেকে সার, জ্বালানি তেল আমদানি ও বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে ব্যয় হবে এ ঋণ।
সরকারের সর্বশেষ 'স্ট্যান্ডিং কমিটি অন নন-কনসেশনাল লোন (এসসিএনসিএল)' বৈঠকে এর অনুমোদন দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। পাশাপাশি বৈঠকে বৈদেশিক ঋণের প্রকল্প নির্দিষ্ট মেয়াদে সমাপ্ত, দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন এবং নিয়মিত মনিটরিংয়ের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
দাতা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে স্বল্প সুদে (নমনীয়) এবং অনমনীয় (উচ্চসুদে) দুই ধরনের ঋণ নেওয়া হয়। কিন্তু ২০২৬ সালে স্বল্প আয়ের দেশ থেকে বাংলাদেশ বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে স্বল্পসুদের ঋণ কম মিলছে।
ফলে অর্থনৈতিক সংকট ও বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি পূরণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উচ্চসুদে ঋণ নেওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এর ফলে ঋণসেবা ব্যয় দ্রুত বাড়ছে এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

'ফাঁসছেন ১৭৩ পুলিশ-আমলা' দেশ রূপান্তরের শিরোনাম। খবরে বলা হচ্ছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আমলাদের দাপট ছিল দেখার এবং অনুভব করার মতো। তারা এমন কোনো অপকর্ম নেই যা করেননি। কার্যত তারাই ছিলেন সাবেক সরকারের নিয়ন্ত্রক।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরও ওই কর্মকর্তারা ভোল্ট পাল্টে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসে আছেন। পুলিশ কর্তারাও পিছিয়ে নেই। তারাও সদর দপ্তরসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন।
এই আমলা ও পুলিশ কর্তাদের বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা তথ্য জোগাড় করেছে এবং একটি গোপন প্রতিবেদন সরকারের উচ্চমহলের কাছে পাঠিয়েছে বলে দেশ রূপান্তরকে জানিয়েছে বিশ্বস্ত একটি সূত্র।
সূত্র জানিয়েছে, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে সচিব-পুলিশসহ ১৭৩ আমলার নাম উঠে এসেছে। তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের পলাতক শীর্ষ নেতাদের গোপন যোগাযোগ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।
তারপরও গোয়েন্দাদের আশঙ্কা- তালিকাভুক্ত আমলাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া খুব কঠিন হবে। অপরাধ বিশ্লেষকরা মনে করছেন, প্রশাসন পুনর্গঠনে এখনো গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল সুবিধাভোগীদের প্রভাব কমানো এবং বঞ্চিত কর্মকর্তা ও যোগ্যদের উপযুক্ত পদে বসানো জরুরি হয়ে পড়েছে। না হলে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মূল চেতনা অনুযায়ী স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসন গড়ে তোলা কঠিন হবে।
আজকের পত্রিকার শিরোনাম 'ডেঙ্গুর দৌরাত্ম বাড়ছে: বছরের এক - তৃতীয়াংশই আক্রান্ত হয়েছে আগস্টে'। খবরে বলা হচ্ছে, দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু ভাইরাসের প্রকোপের মাত্রা দৃশ্যত দিন দিন বাড়ছে । গত এক মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে সাড়ে ১০ হাজার ডেঙ্গু রোগী । এ সংখ্যা বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত আট মাসের মোট রোগীর এক- তৃতীয়াংশ ।
সম্প্রতি রাজধানী এবং দেশের উত্তরাঞ্চলের রংপুর ও উত্তর- পূর্বাঞ্চলের সিলেটে রোগীর হার বেড়েছে । এসব অঞ্চলে বছরজুড়ে যতসংখ্যক রোগী হাসপাতালে এসেছে , তার প্রায় অর্ধেক এসেছে গত আগস্টে । স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গু সংক্রমণ- বিষয়ক হালনাগাদ তথ্যে গতকাল রোববার জানানো হয়েছে , চলতি বছর এ পর্যন্ত সারা দেশে ৩১ হাজার ৪৭৬ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে । আর মারা গেছে চিকিৎসাধীন থাকা ১২২ রোগী শুধু সদ্য শেষ হওয়া আগস্টেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১০ হাজার ৪৯৬ রোগী । এ মাসে মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জনের ।
সরকারের তথ্য অনুযায়ী , বছরজুড়ে শুধু রাজধানীতে রোগী ভর্তি হয়েছে সাড়ে ৭ হাজার । এর মধ্যে গত এক মাসে হাসপাতালে এসেছে ৩ হাজার । রাজধানীর বাইরে সারা দেশে মোট রোগী ২৩ হাজার ৮৮২ জন । এর মধ্যে গত মাসে সাড়ে ৭ হাজার রোগী ভর্তি হয়েছে । চলতি বছরে রাজধানীর বাইরে ঢাকা বিভাগে সোয়া ৪ হাজার , ময়মনসিংহ বিভাগে ৫৫০ , চট্টগ্রাম বিভাগে পৌনে ৫ হাজার , খুলনা বিভাগে ১ হাজার ৭০০ , রাজশাহী বিভাগে সোয়া ২ হাজার , রংপুর বিভাগে ২০০ , বরিশাল বিভাগে ১০ হাজারের বেশি এবং সিলেট বিভাগে ১১৯ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা গেছে , গত এক মাসে রাজধানীর বাইরে ঢাকা বিভাগে রোগী অঞ্চলভিত্তিক ডেঙ্গুর রোগতাত্ত্বিক পর্যালোচনার উদ্যোগ নেই ।