Image description

চিকিৎসক গোলাম মোস্তফা দেওয়ান ও আইনুন নাহার দম্পতির ছোট মেয়ে ছিলেন নাঈমা সুলতানা। ছিলেন বলার কারণ, নাঈমা এখন আর নেই। গণ-অভ্যুত্থানে সেও একজন শহীদ।

গত রমজানেও মা ও বড় বোনের সঙ্গে তারাবি পড়ত নাঈমা।

ইফতারিতে নতুন নতুন খাবারের বায়না। ঈদের কেনাকাটা নিয়ে নাঈমার আনন্দ ছিল আরো বেশি। তবে এখন সব কিছুই আইনুন নাহারের কাছে স্মৃতি। আর এই স্মৃতি মলিন করে দিয়েছে তাদের ঈদ।
পরিবারে নেই ঈদ আনন্দ।

 

জুলাই আন্দোলনের সময় ১৯ জুলাই রাজধানী ঢাকার উত্তরায় নিজ বাসার চারতলা ভবনের বারান্দায় দাঁড়িয়েছিল স্কুলছাত্রী নাঈমা। সেখানেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় সে।

চাঁদপুরের মতলব উত্তরের আমুয়াখান্দা উত্তরপাড়ায় নাঈমার গ্রামের বাড়ি।

গোলাম মোস্তফা গ্রামের বাজারেই রোগী দেখেন। আর তার স্ত্রী আইনুন নাহার সন্তানদের নিয়ে উত্তরার ৯ নম্বর সড়কের ৫ নম্বর বাড়ির চারতলায় ভাড়া থাকতেন।

 

শহীদ নাঈমার মা আইনুন নাহার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কয়েক রোজা গেলেই নতুন জামাকাপড় কেনার জন্য অস্থির হয়ে যেত নাঈমা। সব সময় মেয়ের আবদার পূরণ করতে চেষ্টা করতাম। আমরা যৌথ পরিবারে ওর দাদার বাড়িতে একসঙ্গে ঈদ করতাম।

গ্রামে সবাই অপেক্ষা করত, কত রোজায় বাড়ি যাব। এবার সেই আনন্দ নেই।’

 

মেয়ের কথা ভেবে নির্ঘুম রাত কাটছে আইনুন নাহারের। মেয়ের জন্য কাঁদতে কাঁদতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। নিচ্ছে মানসিক ডাক্তারের চিকিৎসা।

তিনি বলেন, ‘এখন মনে হয় বাসায় কোনো মানুষ নেই, কবরস্থান। সারা দিন কাঁদি। কিছু করতে বসলেই মেয়ের কথা মনে হয়।’