Image description

Khomenee Ehsan ( খোমেনি এহসান)


 
কোনো দেশেই অনির্বাচিত সরকার থাকা উচিত নয়। কারণ সকল অনির্বাচিত সরকারই আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ এবং অবৈধতার কারণে অনির্বাচিত সরকার বিদেশী হস্তক্ষেপের কাছে কাবু হয়ে যায়।
 
বাংলাদেশে জুলাই গণহত্যাকে ঘিরে যে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে এটি অনির্বাচিত এবং আইনীভাবে দুর্বল, এটি সোশ্যাল কন্টাকের ভিত্তিতে সক্রিয় আছে। ফলে এ সরকার যতই জন্তুস্টি অর্জন করুক না কেন দীর্ঘ মেয়াদে এ সরকার টিকে থাকতে পারবে না।
 
আমার কথায় অনেকেই রাগ করবেন। অনেকে ভাববেন আমি বিএনপির পক্ষে বলতেছি। কিন্তু বাস্তবতা হলো এ সরকারের চ্যলেঞ্জ আওয়ামী শিবির থেকে আসার সম্ভাবনা বেশি। যা নানা জায়গায় দেখা যাচ্ছে।
 
গতকাল শরীয়তপুরে ঈদের দিন শহীদ পরিবার ও শহীদের কবর আক্রান্ত হয়েছে। নাটোরে বিএনপির ওপর জয়বাংলা বলে গুলি করা হয়েছে। এগুলানকে আমি বড় ঝড়ের আলামত মনে করি।
 
যাদের স্মরণে থাকবে তাদের হয়তো খেয়াল আছে, আমি আগস্টে আশঙ্কা জানিয়েছিলাম যে লিবিয়ার পরিণতি বরণ করবে বাংলাদেশ।
 
যদি আমরা নির্বাচনের মাধ্যমে স্তিতিশীলতার দিকে যেতে না পারি তাহলে লিবিয়ার পরিণতি আসলেই আসতে পারে।
 
কারণ নির্বাচিত সরকার না থাকা মানে দেশে অস্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করা, রাষ্ট্র ঠিক না থাকা। এর সুযোগ আওয়ামী লীগ নেবেই। বিশেষ করে ভুরাজনীতির কারণে ভারত আওয়ামী লীগকে উস্কাবে।
 
অনেককে দেখি পৃথিবীর চতুর্থ বৃহৎ অর্থনীতি ভারতের সার্বভৌমত্ব ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করতে বাংলাদেশকে ব্যবহার করার কথা বলে।
 
কথা হলো ভারত এমন ঝুঁকির কথা বেখবর নয়। সেক্ষেত্রে তারা সরাসরি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। কিন্তু কথা হলো ওই রকম যুদ্ধের আগে আওয়ামী লীগ ও হিন্দুত্ববাদীদের দিয়ে গেঞ্জাম লাগাবে না কেন?
 
অনেকে বিগত ১৬ বছর বিএনপি জামায়াতের ভূমিকা নিয়ে কথা বলে। এদের সবাইকে বলব দেশ আক্রান্ত হলে বিএনপি জামায়াতকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। এরা মোটেই কনভেনশনাল রাজনীতির বাইরে গিয়ে অনির্বাচিত সরকারের পক্ষ নিয়ে বিদ্রোহ দমন করবে না। আর লুটেরা পপুলিস্ট আখের গোছানো ছাত্ররাও কিছুই করতে আসবে না। তারা বরং জুলাইয়ের মতোই সাধারণদের শহীদ হওয়ার পথে ঠেলে দিয়ে নিজের পালাবে।
 
অলরেডি শহীদ পরিবারগুলো জানে তারা সন্তানের লাশের বিনিময়ে কিছু পয়সা পেলেও তাদের পাশে কেউ নাই।
 
সময়মতো ভোট না হলে সামাজিক কন্টাক্ট শেষ হয়ে যাবে। বিএনপি স্রেফ আন্দোলনে নামলেই পরিস্থিতির সুযোগ লীগ নিয়ে ফেলবে।
 
আর হ্যা, এখনকার সব পণ্ডিতি আলাপই বুমেরাং হয়ে যাবে।
 
হাসিনা অপেক্ষা করছে আসিফ নজরুলকে দিয়ে বিচার ধীরগতির করে সময় নষ্ট হওয়া পর্যন্ত। তখন দেখবেন লীগের ভালো মানুষদের নেতৃত্বে লীগ ফিরে আসবে। তারা শহীদদের জন্য কাঁদবে। জনগণের দুঃখ কষ্ট নিয়ে কথা বলবে। তখন তাদের পেছনে খারাপ আওয়ামী লীগও দাঁড়াবে। তারপর তাদের সবার হাত ধরে একদিন রেহানা বা পুতুল দেশে চলে আসবে।
 
আমি ইতোমধ্যে আওয়ামীদের এক বড় অংশকে প্রস্তুত হতে দেখছি। শেখ হাসিনাদের ক্যাশ টাকা থাকা বাড়িগুলো নিয়ে কানাঘুষা বন্ধ হয়েছে। গত আটমাসে গ্রেপ্তার হওয়া ৯০ ভাগ আওয়ামীকেই আসিফ নজরুল জামিনে মুক্তি দিয়েছেন।
 
এরমধ্যে যারা নির্বাচন ঠেকাতে চাচ্ছে তাদের হিসাব বলি, সচিবালয়ে মাত্র দুইজন সচিব জামাত করে, আর ২৫জন এখনো সরাসরি আওয়ামী লীগ করে। আর কুড়িজন বিএনপি সচিবের বেশির ভাগই ছুপা লীগ। কথা হলো ভোট না হলে প্রশাসন পুলিশ আদালত সব জায়গায় লীগের গোপন শাসনই চলবে। আর তারা ছাত্রদের ফেসবুক ন্যারেটিভকে খুব একটা পাত্তা দেবে এমন না।
 
যখন আওয়ামী লীগ মনে করবে বিএনপির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নাই, তখন অন্তর্বর্তী সরকার, জামায়াত ও এনসিপি খতম হয়ে যাবে।