ইরান উপসাগরে কেশম দ্বীপের কাছে তেলবাহী একটি বিদেশি ট্যাংকার জব্দ করেছে তেহরান। ট্যাংকারটিতে ৪০ লাখ লিটার চোরাই জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল বলে শুক্রবার ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ব সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে।
তবে জব্দকৃত ট্যাংকারটির নাম কিংবা কোন দেশের সেই বিষয়ে ইরানি কর্তৃপক্ষ কোনও তথ্য জানায়নি। তেহরান বলেছে, ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগে ১৬ জন বিদেশি নাবিককে আটক করা হয়েছে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, বিদেশি ওই ট্যাংকার গত বুধবার জব্দ করা হয়। এর আগে, গত সপ্তাহে ইরান বলেছিল, ওমান উপসাগরে ৬০ লাখ লিটার চোরাই ডিজেল বহনকারী আরেকটি বিদেশি ট্যাংকার জব্দ করা হয়েছে। ওই সময়ও ট্যাংকারের নাম কিংবা সেটি কোন দেশের, সেই তথ্যও প্রকাশ করা হয়নি।
উচ্চ ভর্তুকি ও জাতীয় মুদ্রার মান ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ায় বিশ্বের সবচেয়ে কম মূল্যে জ্বালানি পাওয়া যায় ইরানে। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী দেশগুলোতে স্থলপথে এবং উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোতে সমুদ্রপথে ব্যাপক জ্বালানি পাচার ঠেকাতে উদ্যোগ নিচ্ছে দেশটি।
ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বলেছে, জব্দকৃত ট্যাংকারের নাবিকদের আটক করা হয়েছে। এই বিষয়ে বিস্তারিত তদন্তের জন্য বিচারিক কর্তৃপক্ষ কার্যক্রম শুরু করেছে। একই সঙ্গে দেশটিতে চোরাচালান কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত নেটওয়ার্ক শনাক্তে অতিরিক্ত তদন্ত চলছে বলেও জানিয়েছে তেহরান।
জ্বালানিবাহী ট্যাংকার জব্দের এই ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটেছে, যখন আঞ্চলিক উত্তেজনা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের জবাবে তেহরান বারবার হরমুজ প্রণালি নিয়ন্ত্রণ অথবা বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে।
বিশ্বের মোট তেল সরবরাহের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ এই প্রণালী দিয়ে পরিবাহিত হয়। ওই প্রণালীতে কোনও ব্যাঘাত ঘটলে বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারে তা বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।