Image description
হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির শর্ত হিসেবে গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনীতে সেনা পাঠানোর জন্য পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে চাপ দিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
 
ফিল্ড মার্শাল মুনির আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ওয়াশিংটন সফর করবেন এবং ওই বৈঠকেই সম্ভবত গাজা নিয়েই আলোচনা হবে বলে সূত্রের বরাতে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
 
এই বছরের শুরুতে ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে এটি হবে পাকিস্তানের ফিল্ড মার্শালের সঙ্গে তৃতীয় বৈঠক। আগের দুটি বৈঠক গত সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবরে হোয়াইট হাউসে হয়েছিল।
 
গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের ২০-দফা শান্তি পরিকল্পনার অন্যতম ভিত্তি হলো আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী। কিন্তু বেশ কিছু আরব ও মুসলিম রাষ্ট্র এতে অবদান রাখতে অনিচ্ছুক হওয়ায় এটি ধীরগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।
 
গত মঙ্গলবার কাতারের দোহায় মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ড সেন্টকম স্থিতিশীলতা বাহিনীর জন্য একটি ম্যান্ডেট প্রতিষ্ঠা এবং বিষয়টি আরও স্পষ্ট করার জন্য একটি সম্মেলনের আয়োজন করে। তবে উপস্থিত ৪৫টি দেশের কেউই এই প্রচেষ্টায় সৈন্য সরবরাহের জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি দেননি।
 
তুরস্ক এবং ইসরায়েল উভয়কেই সম্মেলন থেকে বাদ দেওয়া হয়, যদিও যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে এবং বজায় রাখতে সহায়তা করার জন্য তুরস্ক কয়েকটি দেশের মধ্যে একটি ছিল। ইসরায়েল তুরস্কের উপস্থিতির বিরোধিতা করে।
 
ওয়াশিংটন-ভিত্তিক আটলান্টিক কাউন্সিলের দক্ষিণ এশিয়ার সিনিয়র ফেলো মাইকেল কুগেলম্যান বলেছেন, গাজা স্থিতিশীলতা বাহিনীতে পাকিস্তানের অবদান না রাখা ট্রাম্পকে বিরক্ত করতে পারে। এটি পাকিস্তানের জন্য কোনো ছোট বিষয় নয়, কারণ পাকিস্তান মার্কিন বিনিয়োগ এবং নিরাপত্তা সহায়তা নিশ্চিত করার জন্য তার (ট্রাম্পের) অনুগ্রহে থাকতে আগ্রহী।
 
প্রসঙ্গত, বিশ্বের একমাত্র মুসলিম দেশ পাকিস্তান, যেখানে পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী যুদ্ধ-প্রতিজ্ঞ, তারা তিনবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। এই গ্রীষ্মে একটি সংক্ষিপ্ত সংঘর্ষে জড়িয়েছিল।
 
এই বাহিনী দেশটির প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্রোহ এবং বিচ্ছিনতাবাদ মোকাবেলা করেছে। সেই সঙ্গে বর্তমানে আফগানিস্তান থেকে পরিচালিত সশস্ত্র যোদ্ধাদের সঙ্গে এক ভয়াবহ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে।