Image description
 

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘বর্ধমান ও বেআইনি হুমকি’ মোকাবিলায় তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংস্থা ওপেকের সহায়তা চেয়েছেন।

সোমবার (০১ ডিসেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

রোববার ওপেক সদস্য দেশগুলোর উদ্দেশে পাঠানো এক চিঠিতে মাদুরো অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার বিশাল তেলসম্পদ ‘দখল’ করতে চায়। তিনি বলেন, এই আগ্রাসন বিশ্ব জ্বালানি বাজারের স্থিতিশীলতার জন্য গুরুতর হুমকি। টেলেসুরে প্রকাশিত চিঠিতে মাদুরো ওপেক ও ওপেক প্লাস দেশগুলোর প্রতি ‘ভূখণ্ড, জনগণ ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ওপর প্রাণঘাতী সামরিক শক্তি ব্যবহারের’ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ করেন মাদুরো।

 

বিশ্বের সর্বোচ্চ তেল মজুত থাকা সত্ত্বেও ২০২৩ সালে ভেনেজুয়েলার তেল রপ্তানি ছিল মাত্র ৪ দশমিক ০৫ বিলিয়ন ডলার। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে যা অন্যান্য বড় তেল উৎপাদনকারী দেশের তুলনায় অনেক কম।

 
 

চিঠির একদিন আগে ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে দাবি করেন যে, ভেনেজুয়েলার আকাশসীমা ‘সম্পূর্ণভাবে বন্ধ’ বলে বিবেচনা করুন। যদিও তিনি সে বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেননি। ভেনেজুয়েলা এ মন্তব্যকে ‘ঔপনিবেশিক হুমকি’ বলে আখ্যায়িত করে।

 

মাদুরো সরকার দীর্ঘদিন ধরে দাবি করছে, ক্যারিবীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর উদ্দেশ্য হলো দেশের তেল ও গ্যাস সম্পদের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া। যদিও ওয়াশিংটন বলছে, তাদের কার্যক্রম মাদক অভিযানকে কেন্দ্র করে। কিন্তু সমালোচকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব তথ্যই দেখায় যে ভেনেজুয়েলা থেকে আসা মাদকের পরিমাণ খুবই কম।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় কথিত মাদকবাহী জাহাজে অন্তত ৮৩ জন নিহত হয়েছে, যা মানবাধিকার সংগঠনগুলো আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় অঞ্চলে বিশাল সামরিক উপস্থিতি বজায় রেখেছে, যার মধ্যে রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড, অন্যান্য যুদ্ধজাহাজ, হাজারো সেনা ও এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান।