
ইরানের সর্বোচ্চ সামরিক কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে সতর্ক করে বলেছেন, যে কোনো নতুন আগ্রাসন আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী ও চূড়ান্ত জবাবের মুখে পড়বে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) তেহরানে দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান জেনারেল রুদজানি মাফওয়ানিয়ার সঙ্গে বৈঠকে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল আবদোরাহিম মুসাভি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল তাদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করার জন্য কুখ্যাত। তাই নতুন করে কোনো হামলা হলে ইরানের সেনারা আরও কঠোর জবাব দেবে। তিনি জুন মাসের ১২ দিনের আরোপিত যুদ্ধে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের ভয়ংকর পাল্টা আক্রমণের কথা উল্লেখ করেন।
মেজর জেনারেল মুসাভি আরও বলেন, ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) বিশ্বে সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসবিরোধী বাহিনী, এবং এই বাহিনী তাদের মূল্যবান অভিজ্ঞতা দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ভাগাভাগি করতে প্রস্তুত।
গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা করার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকাকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এই পদক্ষেপ ন্যায়বিচারের পক্ষে ইরানের অবস্থান ও নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার সেনাপ্রধান ইরানের প্রশংসা করে বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার জনগণের এপারথাইডবিরোধী সংগ্রামে ইরানের সমর্থন দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক বন্ধন তৈরি করেছে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের সামরিক, পারমাণবিক ও আবাসিক এলাকাগুলোতে ১২ দিনব্যাপী হামলা চালায়। এরপর ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র নাতাঞ্জ, ফোর্ডো ও ইসফাহানে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়।
এ ঘটনার পরপরই ইরান তীব্র পাল্টা আক্রমণ শুরু করে। আইআরজিসি এয়ারোস্পেস ফোর্স “অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩” এর অংশ হিসেবে দখলকৃত ফিলিস্তিনের বিভিন্ন শহরে ২২ দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যাতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের হামলার জবাবে ইরানি বাহিনী কাতারের আল-উদেইদ এয়ারবেসে (যা পশ্চিম এশিয়ার সবচেয়ে বড় মার্কিন ঘাঁটি) ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।
২৪ জুন থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি এই লড়াইয়ের অবসান ঘটায়।