
'তাইওয়ানের স্বাধীনতার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা ও শক্তিশালী প্রতিরোধ' হিসেবে দ্বীপটি ঘিরে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সমন্বিত মহড়া শুরু করেছে চীন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, আজ মঙ্গলবার এই মহড়ার ঘোষণা দেয় দেশটি।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চীনের শানডং এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার গ্রুপ সোমবার তাদের নজরদারি এলাকায় প্রবেশ করেছে। তাইওয়ানও পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে সামরিক বিমান ও জাহাজ মোতায়েন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা সক্রিয় করেছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, চীনা কমিউনিস্ট পার্টি তাইওয়ান ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সামরিক তৎপরতা বাড়িয়েছে। তারা এখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় 'সমস্যা সৃষ্টিকারী'।
তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করে চীন। সম্প্রতি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে চীনকে 'বিদেশি শত্রু শক্তি' বলে আখ্যায়িত করেছে। এতে ক্ষুব্ধ হয় চীন।
সামরিক মহড়ার ঘোষণার সঙ্গে প্রকাশিত এক ভিডিওতে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টকে কার্টুন আকৃতির একটি পোকামাকড় হিসেবে দেখানো হয়েছে, যাকে চপস্টিক দিয়ে ধরে রাখা হয়েছে এবং নিচে জ্বলন্ত তাইওয়ান।
ভিডিওতে লেখা ছিল, 'তাইওয়ানকে বিষাক্ত করছে এই পরজীবী। পরজীবী দ্বীপটিকে ফাঁপা করে দিচ্ছে। পরজীবী নিজ ধ্বংসের পথ তৈরি করছে।'
এ বিষয়ে তাইওয়ান সরকার কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।