Image description
ডাকসু নির্বাচন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ৯ই সেপ্টেম্বর। নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ডাকসু এখন জাতীয়ভাবেও আলোচিত ইভেন্ট। রাজনৈতিক সচেতন মানুষের দৃষ্টি এখন কে বসছেন ডাকসু’র ড্রাইভিং সিটে সেদিকে। কারণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন জাতীয় রাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে। দীর্ঘ অচলায়তনের পর ২০১৮ সালে ডাকসু হলেও বিতর্ক কম  ছিল না। তবে ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী এ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে চাইছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অন্যদিকে এ নির্বাচনের মাধ্যমে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক চর্চার পথ উন্মুক্ত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কেমন হবে আগামী জাতীয় নির্বাচন? তার একটা আভাস মিলবে এ নির্বাচনের মাধ্যমে। 

এই লড়াইয়ে বড় নাম ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির। এছাড়াও, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, বাম গণতান্ত্রিক জোট এবং একাধিক স্বতন্ত্র প্যানেল রয়েছে। সাত বছর পর হতে যাওয়া এই নির্বাচন নিয়ে কৌতূহলি ভোটাররা। স্পষ্ট চোখ রাখছেন রাজনীতি সচেতন মহল, দাবার ঘুঁটি সাজাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। যদিও হলগুলোতে রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছেন কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে প্রস্তুতি চলছে ৯ই সেপ্টেম্বরের ডাকসু নির্বাচনের। গতকাল শেষ হয়েছে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহের নির্ধারিত সময়। ডাকসুতে ২৮টি পদের জন্য ৬৫৮টি ফর্ম সংগ্রহীত হয়েছে। আর হল সংসদে ১ হাজার ৪২৭টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিয়ে প্রার্থীরা নিজ নিজ পক্ষে ভোটার টানতে সক্রিয় হয়েছেন। অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনেও চলছে জোর প্রচারণা। হলে হলে নিজেদের পক্ষে শিক্ষার্থীদেরকে টানতে নানা কৌশল দেখা যাচ্ছে ছাত্রসংগঠনগুলোকে। ডাকসু’র প্রায় ৪০ হাজার ভোটারের মধ্যে বড় ফ্যাক্টর পাঁচ ছাত্র হলের প্রায় ৪৮ শতাংশ ভোটার। এরাই জয়- পরাজয় নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। এছাড়াও প্রার্থীদের অতীত ইতিহাস, সামপ্রতিক কর্ম ও মতাদর্শও নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে।

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে ছাত্রদল। তিনিই ঠিক করবেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্যানেল। তার আগে নেতাকর্মীদের মাঝে যারা নির্বাচন করতে চান তাদেরকে ফরম তুলতে বলা হয়। সেই নির্দেশনা মেনে আগ্রহীরা ফরম তুলেছেন। তবে সেখানে বড় নাম আবিদুল ইসলাম খান। তিনি ’২৪ আন্দোলনের দুঃসময়ে সাধারণ মানুষকে এক রাখতে উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘প্লিজ! কেউ কাউকে ছেড়ে যাইয়েন না।’ যা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের এক আবেগতাড়িত বাণী। ফরম নিয়েছেন ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুমিনুল জিসান। তিনিও ছাত্রদলের দুঃসময়ের বর্জমুষ্ঠি। দু’জনই জনপ্রিয়। এ নিয়ে ছাত্রদলের ভেতরেও রয়েছে অপেক্ষা। শিগগিরই প্যানেল ঘোষণা হবে ছাত্রদলের। তবে অধিক উচ্চারিত হয়েছে ভিপি পদে আবিদুল ইসলাম খান, জিএস শেখ তানভীর বারী হামিম এবং এজিএস (সহ-সাধারণ সম্পাদক) পদে তানভীর হাদী মায়েদের নাম। নবাগত দুই ব্যাচ শিক্ষার্থীদের মাঝে জনপ্রিয়তা রয়েছে ছাত্রদলের। এছাড়া হল পাড়ার বেশকিছু পদে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

গত সোমবার মনোনয়ন নেয়ার পর থেকেই আলোচনায়  রয়েছেন ছাত্রশিবিরের ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট প্যানেল। বিভিন্ন মত ও পথের মানুষ নিয়ে ইনক্লুসিভ প্যানেল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে শিবির। ২৮ সদস্যের প্যানেলে ভিপি পদে নিজেকে জানান দিয়েছেন সাদিক কায়েম ও জিএস এসএম ফরহাদ। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই আলোচনা-সমালোচনার মাঝেই রয়েছেন এই দুই নেতা। প্যানেলে রয়েছেন ৪ জন নারী। দু’জন ছাত্রী সংস্থার নেত্রী। ইনকিলাব মঞ্চের ফাতেমা আক্তার জুমাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক পদে। এর মাধ্যমে কৌশলে শিবির তাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অস্বস্তি এড়িয়ে গেছে বলে মনে করছেন অনেকে। এদিকে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী রাইসুল রয়েছেন শিবিরের প্যানেলে। জুলাইয়ে চোখ হারানো জসিম উদ্দিনও রয়েছেন তালিকায়। বেশ কিছু বিভাগের সর্বোচ্চ ফলধারী শিক্ষার্থীকে রাখা হয়েছে। যেমন মাজহারুল ইসলাম, মুহাম্মাদ সাজ্জাদ হোসাইন খান, মহিউদ্দিন খান। নিজ নিজ বিভাগে এ সব নেতার জনপ্রিয়তা বাড়তি সুবিধা দেবে শিবিরকে। এর বাইরেও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সর্ব মিত্র চাকমা অন্তর্ভুক্তি ইতিবাচক আলোচনার খোরাক জুগিয়েছে। সর্ব মিত্র চাকমা তার ব্যাচ ও বিভাগে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, নানা আন্দোলনে ছিলেন সক্রিয়।

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) অবস্থা ভাঙনমুখর। অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, কোরাম, দ্বিচারিতা ইত্যাদির অভিযোগে একাধিক নেতা পদত্যাগ করেছেন। বিদ্রোহী হতে চাইছেন অনেকে। তবে দৃশ্যত ভিপি পদে আব্দুল কাদের এবং জিএস পদে আবু বাকের মজুমদারের প্রার্থী হওয়া নিয়ে কোনো বিবাদ নেই। এজিএস পদ নিয়ে বিবাদে জড়িয়েছেন সাবেক সমন্বয়কদের হাতে গড়া এই দলটির কেউ কেউ। এনসিপি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত মাহিন সরকার স্বতন্ত্রভাবে জিএস পদে প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন। যদিও কানাঘোষা রয়েছে, এজিএস পদে প্রার্থিতার অনুমোদন না দেয়ায় এমনটা করেছেন তিনি। কেন্দ্রীয় মুখ্য সমন্বয়ক তাহমিদ আল মুদ্দাস্‌সির চৌধুরীকেও এজিএস পদে চাইছেন সংগঠনটির একাংশ। অন্যদিকে শুরু থেকেই এ পদে লড়াই করার কথা ছিল সদস্য সচিব জাহিদ আহসানের। একই পদের জন্য বিদ্রোহী হয়ে উঠতে পারেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা টপ ফোরের একজন নেতা। সব মিলিয়ে তুমুল সংকটে দলটি।
প্যানেল ঘোষণা করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদ। সংগঠনটি ভিপি হিসেবে কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, জিএস সাবিনা ইয়াসমিন মনোনয়ন পেয়েছেন। এজিএস হিসেবে আছেন ঢাবি শাখার সদস্য সচিব রাকিবুল ইসলাম। তাদের প্যানেলের নাম ‘ডাকসু ফর চেঞ্জ’ এবং স্লোগান হলো- ‘ভোট ফর চেঞ্জ’।

বাম ছাত্র সংগঠনগুলো পড়েছে রীতিমতো বেকায়দায়। ডাকসুতে শেখ হাসিনাকে আজীবন সদস্য করতে চেয়েছিলেন শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি। ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে শামসুন্নাহার হলের ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন ইমি। সেবার তিনি স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে জিতেছিলেন। এবার সেই ইমি বাম গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের প্রার্থী হয়ে ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ইমিকে সামনে রেখে প্যানেলের নাম দিয়েছে প্রতিরোধ পরিষদ। তবে প্যানেল ঘোষণার পরপরই মুখ থুবড়ে পড়েছে জনপ্রিয়তা। শেখ তাসনিম আফরোজ ইমিকে সামনে রাখায় ইমেজ সংকটে ভুগছে ছাত্র রাজনীতির এই অংশটি। ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ প্যানেল ঘোষণা করেছে। ভিপি পদে লড়বেন ইয়াসিন আরাফাত, জিএস পদে খায়রুল আহসান মারজান এবং এজিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন সাইফ মুহাম্মদ আলাউদ্দিন।

এদিকে, একটি বিরাট অংশ আছে স্বতন্ত্র। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। তিনি ভিপি পদে লড়ছেন ডাকসুতে। তার জনপ্রিয়তাও রয়েছে ব্যাপক। তার প্যানেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়া এবং বর্তমান সভাপতি মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহিকে জিএস এবং এজিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা চলছে। জামাল উদ্দিন খালিদের নেতৃত্বে আরেকটি স্বতন্ত্র প্যানেল গঠিত হয়েছে, এখানেও দেখা গেছে ক্যাম্পাসের পরিচিত মুখদের। অন্যদিকে, ভিপি এবং জিএস ছাড়া স্বতন্ত্র প্যানেল ঘোষণা করেছেন মোসাদ্দেক আলী ইবনে মুহাম্মদ এবং এবি জুবায়েরদের একটি অংশ। প্রায় ১৩ সদস্যের একটি প্যানেল তারা ঘোষণা করেছেন। এখানে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সময়ের আন্দোলন এবং সংগ্রামের নেতৃত্ব দেয়া ছাত্রদের দেখা গেছে। 

ডাকসু’র মনোনয়ন ফরম বিতরণের সময়সীমা শেষ হয়েছে গতকাল। এবার ২৮টি পদের বিপরীতে মোট মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে ৬৫৮টি। ফরম জমা দেবার শেষ দিন বুধবার। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে অবস্থিত ডাকসু নির্বাচন কমিশন ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন। তিনি বলেন, শেষ দিনে ৯৩টি ফরম নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এতে সর্বমোট ফরম বিক্রি হয়েছে ৬৫৮টি। এর মধ্যে জমা পড়েছে ১০৬। তবে হল সংসদের কতোটি ফরম বিক্রি হয়েছে তা জানানো হয়নি। 

ব্রিফিংয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ডাকসুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ শিক্ষার্থীরা মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। এখানে কেউ কোনো দলীয় পরিচয়ে মনোনয়ন নেননি। একজন প্রার্থী একাধিক পদে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে পারে ও একাধিক পদেও জমা দিতে পারে। তবে মনোনয়ন ফরম প্রত্যাহারের দিন তাকে একটি পদে রেখে বাকিগুলো বাতিল করতে হবে।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে উপলব্ধি হয় যে, তারা অধিকাংশই গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছেন। কাকে ভোট দেবেন তা ঠিক করেননি। কবি জসীম উদ্দীন হলের শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন বলেন, ভোটার হওয়ার পর থেকে কখনো ভোট দেবার আগ্রহ পাইনি। এই প্রথম আগ্রহ পাচ্ছি। আমি ব্যক্তি দেখে ভোট দেবো। ’২৪ এর পূর্বে যারা ছড়ি ঘুরিয়েছে এমন কাউকে তো কখনই না। সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশের আর্জি জানিয়ে সায়েরা আক্তার বলেন, ভবিষ্যতে যিনি মাথা উঁচু করে কথা বলতে পারবেন বলে মনে হবে তাদেরই ভোট দেবো। যতো পপুলারই হোক মেরুদণ্ডহীন কাউকে দেবো না।

মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের এক শিক্ষার্থী দু’টি ভয়ের কথা বলেন। তিনি বলেন, ছাত্রশিবিরের কেউ নেতা হয়ে ক্যাম্পাসে আসুক তা চাই না। ছাত্রদল ভবিষ্যতে ছাত্রলীগের আচরণ ধারণ করে কীনা তা নিয়ে সংশয় আছে। কিন্তু এই দুই দলের বাইরে প্রতিনিধিত্ব করা নেতাও খুবই সীমিত। কিছু পদে কাকে ভোট দেবো এটা নির্ধারণ করা সহজ। কিন্তু যেসব পদে সহজ হবে না সেক্ষেত্রে চেইন অব কমান্ড রয়েছে যেসব প্যানেলে তাদের ভোট দেবো। বিশ্ববিদ্যালয়টির একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে বোঝা যায়, তারা উচ্ছ্বসিত। 
ডাকসু’র উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীদের কল্যাণ নিশ্চিত করা। তাদের চাই নির্ভয় আবাসন, মানসমৃদ্ধ খাবার। তাদের চাহিদা তালিকায় রয়েছে মানসম্মত শিক্ষা, গবেষণার সুযোগ, মেধার মূল্যায়ন, বাকস্বাধীনতা-সংস্কৃতি চর্চা অটুট রাখা। কিন্তু বাস্তবে ডাকসু অনেক সময় জাতীয় রাজনৈতিক দলের এজেন্ডায় ঢেকে যায়। এই শঙ্কা রয়েছে শিক্ষার্থীদের মাঝে। ভোটাররা কৌতূহলি নজর রাখছেন প্রার্থীদের নিয়ে। তবে আগ্রহের কেন্দ্রে ছিল ছাত্রদলের হয়ে প্যানেলের নাম নিয়ে। একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ রয়েছে তাদের। তাদের মতে নির্বাচন হবে মূলত ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে। এর বাইরেও কিছু ব্যক্তির নাম উচ্চারিত হয়েছে। যারা পরিচিত, বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ হলেও ভোট আনতে কতোটা পারবেন তা নিয়ে সন্দিহান। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখোপাত্র উমামা ফাতেমা ভিপি পদে লড়াই করছেন। তিনি হতে পারেন ব্যতিক্রম। ভোটারদের অনেকেই তাকে দেখছেন ভিপি হিসেবে। 

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে সব শেষ ডাকসু নির্বাচন হয়। এতে নুরুল হক নুর ভিপি (সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ) হয়েছিলেন, জিএস ছিলেন গোলাম রব্বানী (ছাত্রলীগ)।