জানাজা শেষে বিএনপি চেয়ারপারসন ও বেগম খালেদা জিয়ার কফিন কাঁধে তুলে নিয়েছেন ইসলামি বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে খালেদা জিয়ার জানাজার পর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব আবদুল মালেকের ইমামতিতে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর জানাজা সম্পন্ন হয়। বিকেল ৩টা ২ মিনিটে জানাজা নামাজ শুরু হয়ে শেষ হয় ৩টা ৫ মিনিটে। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়াও অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারাসহ তিন বাহিনীর প্রধান উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি জানাজার প্রথম সারিতে ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
এ ছাড়া ৩২টি দেশের রাষ্ট্রদূত জানাজায় অংশ নেন। খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে সকালেই ঢাকা পৌঁছান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, পাকিস্তান পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক ও ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিয়নপো ডি. এন. ধুংগেল। এদিন, অনুমোদন ছাড়া কাউকে সংসদ ভবনের উত্তর প্লাজায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
জানাজা ঘিরে জনসমুদ্রে পরিণত হয় পুরো মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকা। জাতীয় সংসদের মূল মাঠ দুটি কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে একদিকে বিজয় সরণি ও আগারগাঁও এবং অন্যদিকে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত মানুষের ঢল নামে।
বিকেল পৌনে ৫টায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যানে প্রয়াত স্বামী শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয় খালেদা জিয়াকে। দাফনকার্যের সময় খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বেগম খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর ফুসফুসের সংক্রমণ থেকে শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। এরপর দেখা দেয় নিউমোনিয়া, সঙ্গে কিডনি, লিভার, আর্থ্রাইটিস ও ডায়াবেটিসের পুরনো সমস্যা। হাসপাতালে ভর্তির পর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিউ) নেয়া হয়েছিল তাকে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আইসিউতেই ছিলেন তিনি।