ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি)-এর উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল খালেকের ঘুষ গ্রহণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর এলাকায় তীব্র আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, এক ঠিকাদার বিল সংক্রান্ত ফাইলে স্বাক্ষরের জন্য উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল খালেকের হাতে টাকা তুলে দিচ্ছেন।
ভিডিওতে ঠিকাদারকে বলতে শোনা যায়, ‘স্যার রাখেন এইটা স্যার, আমার কাছে পাঁচ হাজার টাকা নাই স্যার, তিন হাজার টাকাই আছে। এইটাই রাখেন। বিলের ফাইল সিগনেচারের সময় ৪৫ হাজার টাকা তো নিলেনই আমার কাছ থেকে।’
এ সময় একই ভিডিওতে উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল খালেককে বলতে শোনা যায়, ‘আমি সই করলে ইউএনও সই করবে, আমি সই না করলে ইউএনও ফাইলে সই করবে না।’
ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসার পর স্থানীয় ঠিকাদার, সচেতন নাগরিক এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই এটিকে সরকারি দপ্তরে দীর্ঘদিন ধরে চলমান অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ মানুষ।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল খালেকের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি মুঠোফোনে বলেন, ‘এক বদমাইশ ভিডিও করেছে। আমি তাকে চিনিও না, জানিও না। আন্দাজে কি কয় কি হয়, যা পারে করুক। এগুলো নিয়ে আর এখন কিছু বলার নেই।’
জানতে চাইলে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেরাজ শারবীন বলেন, ‘বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। তবে এটি কবেকার ভিডিও সেটা যাঁচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। এরপর তার কর্তৃপক্ষকে বলে প্রয়োজনে তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হবে।’
এ বিষয়ে ফরিদপুর জেলা স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমি অবগত ছিলাম না, তবে আমি ঘটনাটি পর্যবেক্ষণ করে খোঁজ নিয়ে জানাতে পারব।’
আমাদের সময়