আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোরে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসেও পাঁচ দলের ছয় প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি। এ জন্য মনোনয়নপত্র জমাদানের সুযোগ চেয়ে সোমবার সন্ধ্যায় যশোর জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন তারা। লিখিত অভিযোগে তারা দাবি করেছেন, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এসেও তারা মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারেননি।’
তারা হলেন- জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য যশোর-৩ আসনের প্রার্থী খালেদ সাইফুল্লাহ জুয়েল, খেলাফত মজলিশের যশোর জেলা সভাপতি যশোর-৩ আসনের প্রার্থী মাওলানা আব্দুল্লাহ, একই দলের মণিরামপুর উপজেলা কমিটির সভাপতি যশোর-৫ আসনের প্রার্থী মাওলানা তবিবুর রহমান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডির) যশোর-৪ আসনের প্রার্থী আবু মুছা, গণঅধিকার পরিষদের নেত্রী যশোর-৬ আসনের প্রার্থী জেসিনা মুর্শিদ প্রাপ্তি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতা যশোর-৪ আসনের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ।
প্রার্থীরা লিখিত আবেদনে উল্লেখ করেছেন, সোমবার সকাল থেকে বিকাল ৫টার মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার উদ্দেশ্যে সশরীরে উপস্থিত হয়ে কার্যালয়ের ভেতরে নির্দিষ্ট বুথ থেকে সিরিয়াল নম্বর সংগ্রহ করে অপেক্ষায় থাকি। এ অবস্থায় অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মনোনয়নপত্র গ্রহণ চলতে থাকায় বিকাল ৫টা অতিক্রান্ত হওয়ায় সবাইকে অপেক্ষায় থাকার জন্য জানানো হয়। তাদের বলা হয়, সবার মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হবে। কিন্তু ৫টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত মনোনয়নপত্র গ্রহণ করলেও এরপর সময় শেষ জানিয়ে আর কোনও মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হয়নি। আবেদনে মনোয়নপত্র জমাদানের মুহূর্তে পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে যে প্রার্থীরা নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিত ছিলেন তাদের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করার অনুরোধ করেছেন এই প্রার্থীরা।
এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য যশোর-৩ আসনের প্রার্থী খালেদ সাইফুল্লাহ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা যথাসময়ে মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য উপস্থিত ছিলাম। আমাদের অপেক্ষা করতেও বলা হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই মনোনয়নপত্র গ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। যেহেতু আমরা উপস্থিত ছিলাম, এজন্য আমাদের মনোনয়নপত্র গ্রহণের জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছি।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে যশোরের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশেক হাসান বলেন, ‘ওসব প্রার্থী সন্ধ্যা ৬টার পরে এসেছেন। তাও নমিনেশন পেপার ছাড়া। ৬টার পরে জমা নেওয়ার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন কঠোর অবস্থানে আছে। ৪৭ জন মনোনয়ন দাখিল করেছেন। কারও কোনও অভিযোগ নাই। তারা কেন অভিযোগ করেছেন, বুঝতে পারছি না।’