নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট ও সদরের আংশিক) আসনে দলের মনোনয়ন না পেয়ে বিএনপির প্রয়াত স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের স্ত্রী হাসনা জসীম উদদীন মওদুদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকালে ব্যক্তিগত সহকারী মাহবুবুর রহমান নাহিদের মাধ্যমে কোম্পানীগঞ্জের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হাসনা জসীম উদদীন মওদুদ পল্লীকবি জসীম উদদীনের মেয়ে। তিনি ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে স্বামী ব্যরিস্টার মওদুদ আহমদের ছেড়ে দেওয়া নোয়াখালী-৫ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।
এবার এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির চেয়ারম্যান ব্যবসায়ী মো. ফখরুল ইসলাম। তিনিও একইদিন বিএনপির হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সন্ধ্যায় হাসনা জসীম উদদীন মওদুদ নিজের ফেসবুকে লেখেন- আমি দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আমি নোয়াখালী-৫ হতে দলীয়ভাবে বিএনপির একজন প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। যেখানে আমার স্বামী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এবং আমি ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই এলাকার সেবা করেছি। আওয়ামী লীগের প্রতিহিংসার কারণে ২০১৭ সাল থেকে আমি আমার বাড়ি হারিয়েছি; কিন্তু নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হচ্ছে যে, দলীয় মনোনয়নপত্র ছাড়া দলীয়ভাবে কারো মনোনয়ন জমা নেওয়া হবে না। এটা শুনে আমি অনেক আশাহত হয়েছি। তাই বাধ্য হয়ে আমি স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল সম্পন্ন করলাম। আমি আপনাদের সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করছি।
নোয়াখালী-৫ আসনে মোট ১৫ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। প্রার্থীরা হলেন- বিএনপি মনোনীত মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, জাতীয় পার্টি মনোনীত ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহাম্মদ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ মনোনীত মোহাম্মদ শামছুদ্দোহা, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) মনোনীত কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, স্বতন্ত্র (বিএনপি সমর্থিত) হাসনা জসীম উদদীন মওদুদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আবু নাছের, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) মুন তাহার বেগম, স্বতন্ত্র ওমর আলী, মুহাম্মদ ইউনুছ, মোহাম্মদ নওশাদ, জনতার দল শওকত হোসেন, বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি মোহাম্মদ আনিছুল হক, ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ তৌহিদুল ইসলাম, খেলাফত মজলিস আলী আহমদ।