Image description
 

যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন আজাদ। ফলে প্রাথমিক মনোনয়নপ্রাপ্ত কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ শেষ পর্যন্ত বাদ পড়েছেন।

শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিএনপির সংশ্লিষ্ট সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এর আগে ২৪ ডিসেম্বর রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে আবুল হোসেন আজাদের হাতে মনোনয়নের টিকিট তুলে দেওয়া হয়। 

প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়ে ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ গত দেড়মাস ধরে এলাকায় ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। 

স্থানীয় ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মনোনয়ন পরিবর্তনে অধিকাংশ নেতাকর্মীর মধ্যে যেমন উচ্ছ্বাস দেখা গেছে, তেমনি অনেক দলীয় সমর্থক ও সাধারণ ভোটারের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে।

তাদের মতে, ২৫ বছর কেশবপুরের বিএনপি ধরে রেখেছিলেন আবুল হোসেন আজাদ। তাকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ায় বিএনপির বেশিরভাগ নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ থাকবে। অপরদিকে, প্রাথমিক মনোনয়ন পাওয়া কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণকে বাদ দেওয়ায় দলের তরুণ-যুব ভোটারদের মধ্যে মধ্যে হতাশা কাজ করছে। এতে করে জামায়াতের লাভ বেশি হচ্ছে।

দলের কেশবপুর কমিটির সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আবুল হোসেন আজাদ মনোনয়ন পাওয়াতে কেশবপুরের দীর্ঘদিনের হারানো আসন পুনরুদ্ধার সম্ভব হবে।

কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ বলেন, ধানের শীষ যার হাতে বিএনপির ভোটাররা তাকেই ভোট দেবে।

২৯ ডিসেম্বরের পরে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।

যশোরের চারটি আসনেই প্রার্থী বদলে কোনো প্রতিক্রিয়া হবে কিনা জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন যুগান্তরকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দলের জন্যে তারা কাজ করছেন, মন খারাপ হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্ত আমাদের সবাইকে মানতে হবে। নমিনেশন সাবমিটের পরে সবাইকে নিয়ে আমরা বসবো। আশা করছি, ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষকে বিজয়ী করতে সবাই কাজ করবো।