বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে আগমনকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের ভেতর ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর একাত্তরের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তারেক রহমানের স্মৃতিসৌধে আসার কথা রয়েছে। তার এই সফরকে ঘিরে স্মৃতিসৌধ এলাকা ও এর আশপাশে সাধারণ মানুষ ও দলীয় নেতাকর্মীদের জনস্রোত তৈরি হয়েছে।
তারেক রহমানের আগমনকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় কঠোর অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। স্মৃতিসৌধ ও এর সংলগ্ন এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ ও গোয়েন্দা সদস্য। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চার স্তরের বিশেষ বলয় তৈরি করা হয়েছে। স্মৃতিসৌধ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই সফর উপলক্ষে পুরো কমপ্লেক্স এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা ছাড়াও লেকের পানি ও সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
সরজমিনে দেখা যায়, ভোর থেকেই ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ও স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে ভিড় করতে শুরু করেন হাজারো মানুষ। ব্যানার, ফেস্টুন ও জাতীয় পতাকা হাতে বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। অনেকেই সপরিবারে এসেছেন তারেক রহমানকে একনজর দেখার জন্য।
সাভারের হেমায়েতপুর থেকে নিজের সাত বছরের সন্তানকে নিয়ে আসা রাকিব আহমেদ বলেন, “আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত নই। সকাল ৯টা থেকে এখানে অপেক্ষা করছি শুধু তারেক রহমানকে দূর থেকে একবার দেখার জন্য। আমার ছেলেকেও সাথে নিয়ে এসেছি এই মুহূর্তটির সাক্ষী হতে।”
বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জুমার নামাজের পর বিকেলের মধ্যেই তারেক রহমান জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। তার আগমনের খবরে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটক থেকে শুরু করে পর্যন্ত জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে।
পুলিশ প্রশাসন ও স্মৃতিসৌধ কর্তৃপক্ষ সার্বক্ষণিক সমন্বয় করে ভিড় নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা বজায় রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিকেলের মধ্যেই শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তার স্মৃতিসৌধ এলাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
শীর্ষনিউজ