আর মাত্র ২৪ ঘণ্টা। অবসান হতে চলেছে দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালেই স্ত্রী-কন্যাকে নিয়ে দেশের মাটিতে পা রাখবেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
লন্ডন স্থানীয় সময় সোয়া ৬টায় বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। তাকে বহনকারী বিমানটি সকাল ১০টায় সিলেটে অবতরণ করবে, এক ঘণ্টা যাত্রাবিরতির পর বেলা ১২টায় ঢাকায় নামবে। দলের কাণ্ডারিকে বরণ করতে বর্ণাঢ্য প্রস্তুতি চলছে বিএনপিতে। ফেরার দিনটিকে অবিস্মরণীয় করে রাখতে স্মরণকালের বৃহত্তম সমাবেশের আয়োজন করছে দলটি। রাজধানীর তিনশ’ ফিট সড়কে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। বিমানবন্দরে নেমে সংবর্ধনাস্থলে আসবেন তারেক রহমান। সেখানে সারা দেশ থেকে আসা নেতাকর্মী ও দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখবেন। সংবর্ধনাস্থল থেকে সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে যাবেন। সেখানে মায়ের শয্যাপাশে কিছুসময় কাটিয়ে গুলশানের বাসভবনে ফিরবেন তারেক রহমান। এদিকে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে স্বাগত জানাতে ইতিমধ্যে ঢাকামুখী জনস্রোত শুরু হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন থেকে আসা দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় অবস্থান করছেন। এমনকি বিদেশে অবস্থান করা নেতাকর্মীরা ঢাকায় আসছেন তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে।
বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরা উপলক্ষে যে উদ্দীপনা ও প্রস্তুতি দেখা যাচ্ছে, তাতে উপস্থিতির দিক দিয়ে অতীতের সব আয়োজনকে ছাড়িয়ে যাবে এই গণসংবর্ধনা। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তার দেশে ফেরা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। সে কারণে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও এই সংবর্ধনায় অংশ নেবেন বলে তারা আশা করছেন। সূত্র জানায়, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে রাজধানীর কুড়িলের ৩০০ ফিট সড়ক এলাকায় গণসংবর্ধনার আয়োজন করেছে দলটি। সর্বোচ্চ জনসমাগম নিশ্চিত করার পাশাপাশি পুরো আয়োজন সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ রাখতে কাজ করছেন নেতাকর্মীরা। নিরাপত্তা নিশ্চিতে দলের পাশাপাশি সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকেও নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের জন্য ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিক অনুমতি পেয়েছে দলটি। মঞ্চ নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। দফায় দফায় দলটির শীর্ষ নেতারা অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন করছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তারেক রহমান দেশে নামার পর বিমানবন্দর থেকে গণসংবর্ধনা স্থান এবং গুলশান পর্যন্ত কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে, সেদিকে খেয়াল রাখতে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। দলের শীর্ষ নেতারা তারেক রহমানকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাবেন। এ ছাড়া ঘোষিত সম্ভাব্য প্রার্থী, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থেকে এদিনের কর্মসূচি সফল করবেন। সূত্রটি আরও জানায়, বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তারেক রহমানের পর্যাপ্ত নিরাপত্তার জন্য আবেদন করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে যে, তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। দলীয়ভাবেও নেতাকর্মীরাও তার নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ দায়িত্ব পালন করবে বলেও জানা গেছে।
বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে বিএনপি। তার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এ কে এম শামছুল ইসলামকে। নিরাপত্তাসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা দফায় দফায় বৈঠক করছেন। এ নিয়ে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনও বৈঠক করছে। বিমানবন্দর থেকে গুলশানের বাসা পর্যন্ত তারেক রহমানকে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা দিতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে। দেশে ফেরার পর তারেক রহমান যাতায়াতের সময় পাবেন পুলিশি পাহারাসহ বিশেষ নিরাপত্তা। এছাড়াও তার বাসভবন এবং অফিসেও থাকবে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা। অন্যদিকে নিরাপত্তাজনিত হুমকির কথা উল্লেখ করে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফেরার আগে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) নিরাপত্তার আবেদন করেছে দলটি। তবে এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। গতকাল দুপুরে বিএনপি’র গুলশান কার্যালয়ে নিরাপত্তা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক হয়।
অন্যদিকে দেশে ফেরার পর মা খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজার পাশেই গুলশান এভিনিউ’র ১৯৬ নম্বর বাড়িতে ওঠার কথা রয়েছে তারেক রহমানের। তবে সংস্কার কাজ শেষ না হলে মায়ের বাসভবন ফিরোজায়ও তার জন্য প্রস্তুত করা আছে ৩টি রুম বলে জানা গেছে।
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন মানবজমিনকে বলেন, দেশব্যাপী বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠন ও সর্বস্তরের শ্রেণি-পেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত আবেগে শুধু নেতাকে দেখার জন্য আসবে দীর্ঘদিনের গণতান্ত্রিক সংগ্রাম ও পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষার জন্য।
স্থায়ী কমিটির বৈঠক: তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে সামনে রেখে গত সোমবার বৈঠক করেছে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটি। বৈঠকে তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তকে ঐতিহাসিক করতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়। এ ছাড়া বৈঠকে শরিক দলগুলোর সঙ্গে আসন বণ্টন নিয়ে নেতারা আলোচনা করেন। এ সময় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের কেউ কেউ তারেক রহমানকে ঢাকা থেকে নির্বাচন করতে অনুরোধ জানান। বৈঠক সূত্র জানায়, সমমনা দল ও জোটের আসন সমঝোতাসহ নিজ দলের বিতর্কিত আর দুর্বল প্রার্থীদের নিয়েও সভায় আলোচনা করেন। সেখানে মিত্র দলগুলোর আসন সমঝোতা অনেকটা সম্পন্ন হয়েছে বলে দলের নেতারা জানান। আর সারা দেশে বিতর্কিত আর দুর্বল প্রার্থীদের বিষয়ে তারেক রহমান দেশে ফেরার পর সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়ে আলোচনা করেন তারা।
বৈঠকে তারেক রহমানের সংবর্ধনার মঞ্চে কারা উপস্থিত থাকবেন সেটা নিয়েও আলোচনা হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা ছাড়াও ঢাকা মহানগর উত্তর এবং দক্ষিণ বিএনপি এবং দলের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সুপার টু নেতারা সেখানে থাকবেন। এর বাইরে জুলাইযোদ্ধার নিহত পরিবার ও আহত পরিবারের একজন করে সদস্য থাকবেন।
ঢাকার পথে নেতাকর্মীরা: তারেক রহমানকে সংবর্ধনা জানাতে গতকাল রাত থেকেই ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে বিভিন্ন জেলার জেলা নেতাকর্মীরা। ইতিমধ্যে আকাশ, সড়ক ও রেলপথের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। দলের নেতাকর্মীরা গাড়ি ভাড়া এবং যার যার মতো দলবেঁধে ঢাকায় পথে তারা রওনা দিয়েছে বলে মানবজমিনের প্রতিনিধি পাঠানো প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে।
সিলেট: তারেক রহমানকে বরণে সিলেট থেকে ঢাকায় আসছেন লাখো নেতাকর্মী। ইতিমধ্যে অনেকেই ঢাকার পথে রওনা দিয়েছে। গতকাল রাত থেকে যে যেভাবে পারছেন ঢাকার পথে ছুঁটছে। ইতিমধ্যে আকাশ, সড়ক ও রেলপথের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। এ অবস্থায় প্রতি আসন থেকে এমপি প্রার্থী ও দলের নেতারা গাড়িভাড়া করে ঢাকার পথ ধরেছেন। সিলেট-১ আসন থেকে শতাধিক গাড়ি ঢাকার পথে যাচ্ছে। তাদের প্রথম বহর গতরাতে যাত্রা শুরু করেছেন। ঢাকার উত্তরাসহ আশপাশ এলাকায় তারা অবস্থান করবেন বলে জানিয়েছেন নেতাকর্মীরা। ওদিকে সিলেট থেকে ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে সর্বশেষ প্রস্তুতি সভা করেছেন সিলেট-১ আসনের প্রার্থী খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে একনজর দেখার জন্য দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন শুধু বাংলাদেশের ইতিহাসেই নয়, বিশ্ব ইতিহাসেও একটি স্মরণীয় প্রত্যাবর্তন দিবস হিসেবে চিহ্নিত হবে।
সিলেট: তারেক রহমানকে বরণে সিলেট থেকে ঢাকায় আসছেন লাখো নেতাকর্মী। ইতিমধ্যে অনেকেই ঢাকার পথে রওনা দিয়েছে। গতকাল রাত থেকে যে যেভাবে পারছেন ঢাকার পথে ছুঁটছে। ইতিমধ্যে আকাশ, সড়ক ও রেলপথের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। এ অবস্থায় প্রতি আসন থেকে এমপি প্রার্থী ও দলের নেতারা গাড়িভাড়া করে ঢাকার পথ ধরেছেন। সিলেট-১ আসন থেকে শতাধিক গাড়ি ঢাকার পথে যাচ্ছে। তাদের প্রথম বহর গতরাতে যাত্রা শুরু করেছেন। ঢাকার উত্তরাসহ আশপাশ এলাকায় তারা অবস্থান করবেন বলে জানিয়েছেন নেতাকর্মীরা। ওদিকে সিলেট থেকে ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে সর্বশেষ প্রস্তুতি সভা করেছেন সিলেট-১ আসনের প্রার্থী খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে একনজর দেখার জন্য দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন শুধু বাংলাদেশের ইতিহাসেই নয়, বিশ্ব ইতিহাসেও একটি স্মরণীয় প্রত্যাবর্তন দিবস হিসেবে চিহ্নিত হবে।
মহানগর বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কয়েস লোদী বলেন, বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে ঘিরে দলটি তাকে স্বাগত জানাতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে সিলেটবাসী। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মানুষের মধ্যে এক ধরনের উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা রয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা। তারেক রহমানের আগমন এখন দেশ জুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। লাখো মানুষের আগমনের কোনো আনুষ্ঠানিক পরিকল্পনা না থাকলেও তারেক রহমান দেশে ফিরলে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি থাকা স্বাভাবিক।
খুলনা: তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে খুলনা বিএনপি। মহানগর ও জেলা শাখার পক্ষ থেকে প্রায় ১২ থেকে ১৪ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় আসবে। খুলনা মহানগর থেকে শতাধিক এবং জেলা থেকে ৫০টির বেশি বাসে করে তারা রওনা দেবে। একটি বিশেষ ট্রেন চেয়ে রেল সচিবের কাছে আবেদন করেছেন দলটির নেতারা।
চট্টগ্রাম: তারেক রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন অনুষ্ঠানে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চট্টগ্রাম-২ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী সরওয়ার আলমগীর। ২৫শে ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য জমায়েতে ফটিকছড়ি থেকে কমপক্ষে পাঁচ হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করবেন বলে জানান তিনি। গতকাল ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপি’র কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হয়।
রংপুর: রংপুর থেকে অন্তত ৫০ হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থক রাজধানীতে আসার প্রস্তুতি নিয়েছে। জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম জানান, রংপুর থেকে ৫০ হাজার মানুষ ঢাকা যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে অনেকেই রাজধানীতে পৌঁছেছে। বাকিরা আজ রিজার্ভ গাড়িসহ বিভিন্নভাবে ঢাকা পৌঁছাবে বলে জানান তিনি।
রাজশাহী: ৩৫ হাজারের বেশি নেতাকর্মী ও সমর্থক রাজশাহী থেকে ঢাকায় আসবে বলে দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ট্রেন, বাস, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারে করে ঢাকায় আসবে তারা। জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ বলেন, রাজশাহী-৬ আসন থেকে ৪ থেকে ৫ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় আসবেন। এ ছাড়া রাজশাহীর সব উপজেলা থেকে সবমিলিয়ে ২২ থেকে ২৫ হাজার নেতাকর্মী আসবেন।
বাগেরহাট: এই জেলার ৯টি উপজেলা থেকে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের প্রায় ১০ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় আসার প্রস্তুতি নিয়েছে। বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ভাড়া করা হয়েছে। বাগেরহাট জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিম বলেন, বাগেরহাট থেকে চারটি ও কচুয়া থেকে ছয়টি বাসসহ প্রতিটি উপজেলা থেকে বিভিন্ন পরিবহন ভাড়া করা হয়েছে।
নওগাঁ: নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ঢাকায় যাতায়াতের সুবিধার্থে ১০০টি বাস ভাড়া করেছে নওগাঁ জেলা বিএনপি। জেলা বিএনপি’র সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু বলেন, দেশনায়ককে বরণ করে নিতে জেলা বিএনপি অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছে। নেতাকর্মীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ১০০টি বাস ভাড়া করা হয়েছে। প্রতিটি বাসে ৬০ থেকে ৬৫ জন করে যেতে পারবে। এখন পর্যন্ত আমাদের ধারণা, প্রায় সাত হাজার নেতাকর্মী নওগাঁ থেকে ঢাকায় যাবে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
কক্সবাজার: তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে কক্সবাজার জেলা বিএনপি’র নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। এ উপলক্ষে জেলা শহর ও সদরসহ চকরিয়া, পেকুয়া, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, রামু, ঈদগাঁও উপজেলার বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় যাওয়ার ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। কক্সবাজার বিএনপি’র দপ্তর সম্পাদক ইউসুফ বদরি জানান, জেলা শহর ও বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঢাকায় উপস্থিত হয়ে ইতিহাসের সাক্ষী হতে চায়। তারা তারেক রহমানকে বরণ করতে মুখিয়ে আছেন। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় উপস্থিত হবেন।
নেত্রকোণা: ঢাকায় নেতাকে স্বাগত জানাতে নেত্রকোণা বিএনপি’র ৫০ হাজার নেতাকর্মী প্রস্তুতি নিয়েছেন। জেলা বিএনপি’র সভাপতি ডা. আনোয়ারুল হক বলেন, ২৫শে ডিসেম্বর একটি স্মরণীয় দিন হয়ে থাকবে। ওই দিনে আমাদের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটবে। নেতাকে স্বাগত জানাতে বিএনপি’র পক্ষ থেকেই প্রায় ৫০ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় আসার প্রস্তুতি নিয়েছেন। এজন্য বাস, মাইক্রোসহ বিভিন্ন যানবাহন ভাড়া নেয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরা: তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরায় দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আন্দোলনমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। জেলা সদরসহ শ্যামনগর, কলারোয়া, কালিগঞ্জ, আশাশুনি, তালা ও দেবহাটা উপজেলার বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী বৃহস্পতিবার ঢাকায় উপস্থিত হতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছেন। জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু মানবজমিনকে বলেন, সাতক্ষীরা জেলা থেকে কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় উপস্থিত থাকবেন বলে আমরা আশাবাদী।
গাইবান্ধা: গাইবান্ধা থেকে বিএনপি অঙ্গসংগঠনের অন্তত ২০ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় যাচ্ছেন। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার সাত উপজেলার ৮১টি ইউনিয়ন এবং চারটি পৌরসভার বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সবগুলো ইউনিটের নেতাকর্মীরা ঢাকা যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। পাঁচ শতাধিক পরিবহন, বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ভাড়া করা হয়েছে।
মেহেরপুর: মেহেরপুর জেলা থেকে পাঁচ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মী অংশ নেবেন বলে জানিয়েছে জেলা বিএনপি। জেলা বিএনপি’র সভাপতি জাবেদ মাসুদ মিল্টন জানান, জেলার তিনটি উপজেলা থেকে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বাস, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে ঢাকায় আসবে।
লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুর থেকে ২০ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় আসবে বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সড়ক ও নদীপথে তারা ঢাকা আসবে। এরই মধ্যে অনেকে পৌঁছেছে। বাকিরা আজ রাতের মধ্যে পৌঁছাবে বলে জানা গেছে।