Image description
 
 

নানা কারণে আলোচিত পটুয়াখালী-৩ আসনে এবার নির্বাচনি নতুন সমীকরণ। অনেক জল্পনা-কল্পনার পর বিএনপির সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের জোটে পাল্টে গেছে নির্বাচনি হিসাব-নিকাশ। আসনটিতে প্রার্থী না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। 

 

এতে মনোনয়ন বঞ্চিত হচ্ছেন এ আসনে বিএনপির একমাত্র হেভিওয়েট মনোনয়ন প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হাসান মামুন। তবে যেকোনো মূল্যে নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথা যুগান্তরের কাছে নিশ্চিত করেছেন হাসান মামুন। 

রোববার রাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক শেষে গণঅধিকার পরিষদকে পটুয়াখালী-৩ ও ঝিনাইদহ-২ আসন ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। দুটি আসনের মধ্যে পটুয়াখালী-৩ আসনে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও ঝিনাইদাহ-২ আসনে গণঅধিকার পরিষদের সম্পাদক মো. রাশেদ খান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তবে তাদের দুজনকেই নিজ দলের প্রতীক ট্রাক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে।

এদিকে নুরকে পটুয়াখালী-৩ আসন ছেড়ে দেয়ার ঘোষণায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে দশমিনা-গলাচিপা উপজেলায়। দলীয় প্রার্থী না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ বিএনপির নেতাকর্মীরা। 

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে গলাচিপার সহকারি রিটানিং কর্মকর্তার থেকে হাসান মামুনের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন তার দলের নেতাকর্মীরা। 

বিএনপি নেতা হাসান মামুন যুগান্তরকে বলেন, নির্বাচনের জন্য চূড়ান্তভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেকোনো মূল্যে নির্বাচনে অংশ নেব। দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের চাপে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। কোনো ভাবেই নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর সুযোগ নেই। তবে আমার বিশ্বাস পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী দেবে।

এ বিষয়ে বক্তব্য নেয়ার জন্য গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের নাম্বারে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

জামায়াতে ইসলামী থেকে এ আসনে অধ্যাপক মুহাম্মদ শাহ-আলমকে করা হয়েছে প্রার্থী। একইভাবে হাফেজ মাওলানা মুফতি আবু বকর সিদ্দীক নামে একজনকে চুড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করেছে ইসলামী আন্দোলন।

আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত দশমিনা-গলাচিপায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫২ হাজার ২৬১ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৭৭ হাজার ১৫৪ ও ১ লাখ ৭৫ হাজার ১০৫ জন নারী ভোটার রয়েছেন। এছাড়াও আসনটিতে দুজন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার আছেন। উল্লেখ্য, এ আসনটিতে বিএনপি কোনো প্রতিযোগিতা মূলক নির্বাচনে কখনোই নির্বাচিত হতে পারেনি। সাধারণ মানুষ ও দল কখনোই বিএনপির এমপি পাননি।