জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখযোদ্ধা, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র এবং ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তিনি নিশ্চিত করেছেন যে, এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের বিচার কাজ সম্পন্ন করা হবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে।
আইন উপদেষ্টা তার লেখায় উল্লেখ করেন যে, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আইন, ২০২২-এর ১০ ধারা মোতাবেক পুলিশি প্রতিবেদন জমা হওয়ার পর সর্বোচ্চ ৯০ দিনের মধ্যেই এই বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে হাদি হত্যাকাণ্ডের বিচার যে বিশেষ গুরুত্বের সাথে দ্রুততম সময়ে শেষ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, তা স্পষ্ট হয়েছে।
শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে জানা যায় যে, গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণাকালে তিনি হামলার শিকার হন। বক্স কালভার্ট সড়কে রিকশায় থাকা অবস্থায় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে মাথায় গুলি করে। ঘটনার পরপরই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
অবস্থার অবনতি হলে গত ১৫ ডিসেম্বর হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গত শুক্রবার তার মরদেহ দেশে আনা হয় এবং শনিবার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে রাষ্ট্রীয় ও ধর্মীয় মর্যাদায় তাকে সমাহিত করা হয়। সরকারের এই দ্রুত বিচারিক পদক্ষেপের ঘোষণা মূলত নিহতের পরিবার ও সহযোদ্ধাদের দীর্ঘদিনের দাবিরই প্রতিফলন।