Image description
 

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদির হত্যায় মূল অভিযুক্ত ফয়সাল মাসুদ করিম এখনও পলাতক। তার সহকারী আলমগীর শেখও খুঁজে পাওয়া যায়নি। উভয়েই আগে দেশের নিষিদ্ধ ঘোষিত সাবেক শাসকদলের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পুলিশ তাদের অবস্থান নিশ্চিত করতে তল্লাশি চালাচ্ছে, তবে তারা ভারতে পালিয়েছে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়।

 

গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান মহম্মদ শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, তদন্ত চলছে। যদিও অভিযুক্ত দু’জনের পাসপোর্ট ব্লক করা হয়েছে এবং অভিবাসন সংক্রান্ত নথিতে তাদের দেশ ত্যাগের প্রমাণ নেই, তবুও তারা কিভাবে সীমান্ত পেরিয়ে অন্য দেশে চলে গেল তা প্রশ্ন তুলছে সাধারণ মানুষ। এ বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে যে তারা অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে বিদেশে পৌঁছেছে কি না। ফয়সালের পরিবার ও বান্ধবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ১২ ডিসেম্বর ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হন ওসমান হাদি। সরকারি উদ্যোগে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়, কিন্তু ছয়দিনের চিকিৎসার পর মৃত্যু ঘটে। এর পর থেকে দেশের নানা স্থানে অশান্তি সৃষ্টি হয়। হাদির স্মৃতিতে শনিবার রাষ্ট্রীয় শোকদিবস ঘোষণা করা হয়, এবং তার কবরজাতি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের পাশে করা হয়েছে।

 

অভিযুক্তদের ধরা না পড়ার বিষয়টি নিয়ে ইনকিলাব মঞ্চ তীব্র প্রশ্ন তুলেছে। তারা পুলিশকে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছে। এই খুনে এখন পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ফয়সালের পরিবারের সদস্যও রয়েছেন। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, হত্যার আগে ফয়সাল তার স্ত্রী ও বান্ধবীর সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করেছিলেন। পুলিশের হাতে মোটরসাইকেল ও খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রও রয়েছে।

 

নতুন করে তদন্ত ও অভিযুক্তদের শনাক্তকরণে পুলিশ তৎপর, তবে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে—পাসপোর্ট ব্লক থাকা সত্ত্বেও কীভাবে তারা ভারত পেরিয়ে পালাতে সক্ষম হলো।