বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সোমবার গভীর রাতে দাবি করেন, খুব শিগগিরই তারেক রহমান দেশে ফিরবেন। একইদিন যুবদলের দোয়া মাহফিলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকলে তারেক রহমান ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেবেন।
জানা গেছে, দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর যাবত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে ILR ইনডেফিনিট লিভ টু রিমেইন (স্থায়ীভাবে বসবাস করার বৈধ অনুমতি) স্ট্যাটাসে বসবাস করছেন। এই স্ট্যাটাসে যারা যুক্তরাজ্যে থাকেন তখন অন্যান্য ব্রিটিশ সিটিজেনের মতোই প্রায় একই সুযোগ সুবিধা পাবেন বিশেষ কিছু বিষয় ছাড়া।
বিশেষ কিছু বিষয়ের মধ্যে রয়েছে, যেমন তিনি ভোট দিতে পারবেন না, নিজের নামে প্রপার্টি কিনতে পারবেন না কিন্তু নিজের নাম ব্যাবসা বাণিজ্য বা চাকরি করতে পারবেন। সন্তান ব্রিটিশ সিটিজেনের মতো ডোমেস্টিক স্টুডেন্ট হিসাবে পড়াশোনা করতে পারবেন। তার স্ত্রী যে কোনো সরকারি বেসরকারি চাকরি করতে পারবেন। কিন্তু নিজে সরকারি চাকরি করতে পারবেন না। তবে যেকেনো বেসরকারি প্রাইভেট চাকরি করার অনুমতি থাকবে। তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান এভাবেই সরকারি হেলথ সেক্টরে চিকিৎসক হিসাবে কর্মরত আছেন।
তারেক রহমান কেন দেশে আসতে পারছেন না, এটা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মিথ্যাচার করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন লন্ডন প্রবাসী আইনজীবী বিপ্লব কুমার পোদ্দার। তিনি দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, তারেক রহমান চাইলেই বাংলাদেশি পাসপোর্ট রিনিউ করার আবেদন করতে পারবেন না। কারণ ব্রিটিশ হোম অফিসের নিয়ম অনুযায়ী অ্যাসাইলাম ক্যানসেল বা স্টপ না করে নিজের দেশের পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা যায় না এবং ব্রিটিশ হোম অফিস বা ইউকেবিএ (ইউনাইটেড কিংডম বর্ডার এজেন্সি) আবেদনকারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে তাকে নিজের দেশের পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে দিতে পারে না আইন অনুযায়ী।
তিনি আরও বলেন, তারেক রহমান বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের কোনো অংশ না। তাই ডিপ্লোমেটিক অ্যাফেয়ার্স ওনার জন্য অ্যাপ্লিকেবল না এবং এই ইনডেফিনিট লিভ টু রিমেইন স্টপ বা ক্যানসেল করার ফলে যদি ওনার জীবনের নিরাপত্তার কোনো শঙ্কা হয়, অপজিশন পার্টি (টোরি কনজারভেটিভ) সরকারকে চেপে ধরবে।