Image description

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ফেনী-৩ (দাগনভূঞা-সোনাগাজী) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, বিএনপি জননন্দিত ও জনবান্ধব দল। শহীদ জিয়া বাংলাদেশে সৎ ও আদর্শের প্রতীক সফল রাষ্ট্রপতি এবং স্বাধীনতার ঘোষক। তার সহধর্মিণী বেগম খালেদা জিয়া আপসহীন নেত্রী ও তিনবার সফল প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এজন্য ফ্যাসিস্ট সরকার তাকে মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় জেলেপুরে জীবন সংকটাপন্ন করেছেন।

তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া দূরদর্শিতা দিয়ে দলকে পরিচালনা করছেন। তিনি স্পষ্ট ঘোষণাসহ নির্দেশ দিয়েছেন- কোনো চাঁদাবাজ, জনতার আতঙ্ক ও পদ-পদবির লালসায় বিভোর জনভোগান্তির ধারক-বাহককে জাতীয়তাবাদী দলের নেতৃত্বের অধিকারী হতে পারবে না। এমনকি সমর্থক বা কর্মীরাও অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকলে দলে থাকার প্রয়োজন নেই। কে পদ পেল কে পেল না তা নির্ধারণ করেন কেন্দ্রীয় কমিটি। তবে কোনো বিশৃখলাকারীর স্থান দলেও নেই আমার কাছেও নেই। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ফেনী-৩ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে আমি এই প্রথম নির্বাচন করতে এসেছি দল এবং আমার আসনের সম্মানিত ভোটারদের আগ্রহ ও দলীয় সিদ্ধান্তে আনুগত্যের কারণে। আগে আমার বাবার ও ভাইয়ের জন্য নির্বাচন করেছি।

শুক্রবার ২য় দিন নির্বাচনি পথসভায় অংশগ্রহণের পূর্বে নিজ গ্রাম দাগনভূঞার আলাইয়ারপুরে পিতামাতার কবর জিয়ারত শেষে আবদুল আউয়াল মিন্টু যুগান্তরকে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনে ধানের শীষকে বিজয়ী করলে এলাকার উন্নয়নে আমি সর্বাত্মক কাজ করব। ১/১১-এর সময় আমাকে জেল খাটতে হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট বিনা ভোটের হাসিনার সরকার অনেক গায়েবি মামলা দিয়ে আমাকে হেনস্তা করেছে। ফ্যাসিস্টরা আমার স্থাপিত ইকবাল মেমোরিয়াল কলেজের সামনে আমার গাড়ি ভাঙচুর করেছে। কোনো প্রোগ্রাম করতে দেয়নি। আমার বাড়িতে আগুন দিয়ে গাড়ি পুড়িয়েছে। আমি বিগত ১৬ বছর বাবা ও মায়ের কবর পর্যন্ত জিয়ারত করতে পারিনি। আমার প্রতিষ্ঠিত দুলা মিয়া কটন মিল বন্ধ করে দিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বিএনপির দলীয় ফেনী-৩ আসনের প্রার্থী আবদুল আউয়াল মিন্টু বিপুলসংখ্যক দলীয় নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের মিন্টুপ্রিয় জনতা নিয়ে দাগনভূঞার সিলোনিয়া বাজারে ১ম পথসভা ও ২য় পথসভা উপজেলার বেকের বাজারে বক্তব্য দিয়ে দাগনভূঞার তুলাতলীতে বিকালে যাওয়ার পথে পদবঞ্চিত বিদ্রোহী গ্রুপ বালুর ট্রাক আড়াআড়ি রেখে পথ আটকিয়ে দেয়। তাতে তীব্র যানজট ও বিএনপির প্রার্থী মিন্টুর গাড়িবহর থেমে যায়।

দাগনভূঞা সদরে জিরোপয়েন্টে উভয় গ্রুপের ধস্তাধস্তি হয়। তাতে মিন্টুর বহরে থাকা বিএনপি কর্মী খুরশীদ আলম, আবু সায়েমসহ অন্তত ৭ জন আহত হন বলে উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক আকবর হোসেন দাবি করেন। পুলিশ ও সেনাবাহিনী বালুর ট্রাক সরিয়ে নিলে মিন্টু মাগরিবের সময় তুলাতলী বাজারে পথসভায় বক্তব্য দেন।

নির্বাচনি পথসভায় মিন্টুর সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট শাহেনা আক্তার শানু, ফেনী জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী, দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকবর হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাইদুর রহমান জুয়েল ও সদস্য সচিব এসএম কায়সার এলিন, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন খন্দকার সদস্য সচিব নঈম উল্যাহ চৌধুরী প্রমুখ।

দাগনভূঞা থানার ওসি মো. ওয়াহেদ পারভেজ যুগান্তরকে জানান, আমি ও আমার ফোর্স মিন্টু সাহেবের সার্বিক নিরাপত্তায় সঙ্গে ছিলাম। রাস্তায় বালু ট্রাকের খবর পেয়ে দ্রুত গিয়ে ট্রাক সরিয়ে নিয়ে তাকে নিরাপদে তুলাতলীতে নিয়ে যাই।