রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কাজলা ক্যান্টিন থেকে দুজন শিক্ষার্থীকে রামদা ঠেকিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তাদেরকে মারধর করে ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (১৯ নভেম্বর) ১১টার দিকে এমন ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হলেন ফাইনান্স বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের ফারাবী। তিনি এর আগে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। এছাড়া আরেকজন হলেন একই বিভাগের ২০২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থী বকশী।
এ সময় খাবার নিতে গিয়ে নাট্যকলা বিভাগের ২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের মিনহাজ ওই ঘটনায় হামলার শিকার হয় এবং তাকে রামদা দিয়ে কোপ দেওয়া হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে রামেকে নিয়ে যাওযা হয়। তার ৬টা সেলাই লেগেছে বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তারা কাজলা ক্যান্টিনে খাবার খাচ্ছিলেন এমন সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত হামলা করে। এসময় তারা হেলমেট পরা ছিলো। তাদের কাছে রামদা, হাতুরি ও পিস্তল ছিলো বলে জানা গেছে। তারা দুজন রামদা ঠেকিয়ে তুলে নিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে মণ্ডলের মোড় থেকে ফারাবী ও হবিবুর হলের সামনে থেকে আহত অবস্থায় বকশীকে উদ্ধার করা হয়। তারপর তাদের মেডিকেলে পাঠানো হয় বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বকশী বলেন, কমপক্ষে ১০টা বাইক ছিলো, তারা সবাই হেলমেট পরা ছিলো। আমাদেরকে বাইকে তুলে নিয়ে নিয়ে যেতে চাচ্ছিলো পরে আমি নেমে গেছি। পরে আমাকে মারতে মারতে রিকশায় তোলে। রিকশায় করে অক্ট্রয় মোড় দিয়ে ভিতরে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে যেয়ে অন্ধকার এক জায়গায় বসায়। কিছুক্ষণ পর তাদের একটা কল আসে, তারা বলে যে আসলটা পেয়ে গেছি ওকে ছেড়ে দে। পরে তারা আমাকে ৩০ মিনিট ঘুরিয়ে ছেড়ে দেয়। তাদের কাউকে আমি চিনি না।
এ বিষয়ে প্রক্টর মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা জেনেছি কাজলায় ফারাবী নামে একজন শিক্ষার্থী রাতের খাবার খাচ্ছিলো, এ সময় কয়েকজন এসে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় এসময় তারা হেলমেট পরা ছিলো জন্য কাউকে চেনা যায়নি। আমি খবর পেয়েই আসি এসে দেখি অলরেডি তাকে নিয়ে চলে গেছে। সাথেসাথে আমি মতিহার থানার ওসিকে জানায়। পরে ফারাবিকে বেতার মাঠ থেকে উদ্ধার করে মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে মতিহার থানার ওসি আব্দুল মালেক বলেন, দুজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে তাদের একজনকে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা জানতে পারিনি কারা হামলাটা করেছে। তবে জনি নামে একজনের নাম শোনা গেছে। আমরা চেষ্টা করছি তাদেরকে খুঁজে বের করার।