Image description
বিভিন্ন দলের প্রতিক্রিয়া

জুলাই গণ অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, শেখ হাসিনার যে বিচার হয়েছে তা তার অপরাধের তুলনায় যথেষ্ট নয়। কিন্তু এটি শুধু অতীতের বিচার নয় বরং ভবিষ্যতের জন্য একটি শিক্ষা। গতকাল বিকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের বাকি সদস্যরা হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। ট্রাইব্যুনাল বলেছে, শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে।

রায় থেকে শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই নীতি-নির্ধারক বলেন, এ বিচার অপরাধের তুলনায় যথেষ্ট নয়। কিন্তু এটা শুধু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা নয়, সামনের দিনের জন্য উদাহরণ। যাতে কারও শাসনামলে আর ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র না হয়, কেউ যাতে ফ্যাসিস্ট না হয়ে ওঠে।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আদালতের রায়ের মধ্য দিয়ে কয়েকটি জিনিস প্রমাণিত হয়েছে, আর তা হলো- ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার যত শক্তিশালী হোক বা যত দীর্ঘদিন ক্ষমতা ভোগ করুক, একদিন না একদিন আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। এটি একটি মাইলফলক।

সালাহউদ্দিন আহমদ হাসিনার ফ্যাসিবাদী আমলে গুমের শিকার হয়েছিলেন। তাকে ঢাকা থেকে গুম করে ভারতের শিলংয়ে নিয়ে ফেলে রাখা হয়েছিল। রায় ঘোষণার পর জুলাইয়ের ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবার এবং জুলাইযোদ্ধারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তারা আদালতেই স্লোগান দিয়ে ওঠেন। পরে অ্যাটর্নি জেনারেল সবাইকে শান্ত হতে বলেন।

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় এ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণ অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় প্রথম মামলা (মিসকেস বা বিবিধ মামলা) হয়।