মানবতাবিরোধী অপরাধে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁনের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষিত হওয়ার পরপরই খবরটি টংগিবাড়ীতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, আর মুহূর্তেই খবরটি ছাত্রজনতা ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আনন্দ ও উচ্ছ্বাস তৈরি করে।
রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপনের নেতৃত্বে পদ্মা সেতুর মুন্সিগঞ্জ প্রান্তে একটি আনন্দ মিছিল হয়েছে।
বিকাল সাড়ে চারটায় শুকরিয়া আদায় করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেন মুন্সীগঞ্জ–২ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক এবিএম ফজলুল করিম।
ভিডিও বার্তায় এবিএম ফজলুল করিম বলেন—আজকের রায়ের জন্য আমরা আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। ভবিষ্যতে এ দেশে যেন আর কোনো স্বৈরাচারী সরকার প্রতিষ্ঠিত না হয়—এটাই আমাদের প্রত্যাশা। কেউ যেন স্বৈরাচারী হওয়ার চিন্তাও না করে, সেই পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
তিনি আরও বলেন—অতীতে যেভাবে বিচার ব্যবস্থাকে বিতর্কিত করা হয়েছিল, তাতে দেশ ও জাতির মাথা নত হয়েছিল। আজকের রায়ের মাধ্যমে সুবিচারের প্রত্যাশা আরও শক্তিশালী হলো। রায় শুধু দিলেই হবে না; শেখ হাসিনাসহ আন্তর্জাতিক পলাতক আসামিদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করতে হবে। এতে জাতি সন্তুষ্ট হবে।। কোনো অপরাধী যেন আইনের ফাঁক দিয়ে পালিয়ে যেতে না পারে—এটাই জাতির আশা করে।