Image description

জুলাই আন্দোলনের সময়ে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছেন। আজ সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে এই রায় ঘোষণার পর প্রত্যাখ্যান করে এক বিবৃতি দেন বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী পন্থী ১০০১ জন শিক্ষক। 

জানা গেছে, বিবৃতিদাতাদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল দলপন্থী আওয়ামী লীগের অনেক শিক্ষক রয়েছেন। পাশাপাশি অনেকে শিক্ষক ও কর্মকর্তা ফেসবুকে হাসিনার পক্ষে স্ট্যাটাসও দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

হাসিনার পক্ষে বিবৃতি-স্ট্যাটাস ঢাবি কর্মকর্তা-শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা, জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বিবৃতিদাতা শিক্ষকরা ফ্যাসিস্টের দোসর। ৫ আগস্টের পর থেকে তাদের অধিকাংশেরই বিচার চলছে। এমনকি অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত। পাশাপাশি বাকি যারা রয়েছে, বিবৃতির আলোকে আইনগত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। তারপর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

জানা গেছে, বিবৃতিদাতাদের মধ্যে অধ্যাপক ড. এম অহিদুজ্জামান, অধ্যাপক মশিউর রহমান, অধ্যাপক ড. আ. ক. ম. জামাল উদ্দিন অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা প্রমুখের বিরুদ্ধে বিচার চলছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কারও রয়েছে।

তালিকায় আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নীলিমা আক্তারের নামও। তিনি স্বৈরাচারের সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত। বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

এদিকে ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের অধ্যাপক ড. কে. এম. সালাহ উদ্দিন ফেসবুকে লিখেন, ‘ওই ডো নট কেয়ার।’ এটিকে তিনি ক্যাঙ্গারু কোর্টে রায় আখ্যা দিয়েছেন।

 

২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অফিসের ডেপুটি রেজিস্টার লাভলু মোল্লা শিশির ছাত্রজীবনে মাস্টারদা সূর্য সেন হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি শেখ হাসিনার ছবি শেয়ার দিয়ে লিখেন, ‘আই ডো নট কেয়ার।’

জানা গেছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মাহবুব আলম প্ৰদীপ স্বাক্ষরিত এই বিবৃতিতে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০১ জন স্বাক্ষর করেছেন বলে উল্লেখ করা হলেও মোট ৬৫৯ জন শিক্ষকের নাম যুক্ত করা হয়েছে।