সংসদ নির্বাচনে সমমনাদের আসন বণ্টন নিয়ে দলের দুই নেতাকে দায়িত্ব দিয়েছেন বিএনপি’র হাইকমান্ড। শিগগিরই তারা যুগপৎ আন্দোলনের দল ও জোট নেতাদের সঙ্গে বসে তাদের আসনগুলো চূড়ান্ত করবেন। এখন তাদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চলছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এই কাজ শেষ করতে চাচ্ছে। ইতিমধ্যে ২৩৬টি আসনে দলীয় প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বিএনপি। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি আসনে সমমনা দল ও জোটের শীর্ষ নেতারা নির্বাচন করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। যদিও ৬৪টি আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। সমমনাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বাকি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে বিএনপি। যুগপৎ আন্দোলনের দল ও জোট ছাড়াও দলের মনোনয়ন না পাওয়া নেতারাও সেই তালিকায় থাকবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
বিএনপি’র নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, সমমনাদের আসন বণ্টন চূড়ান্ত করতে বিএনপি’র নীতি-নির্ধারণী ফোরামের দুই নেতাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা হলেন- দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। জোটসঙ্গীদের আসন চূড়ান্ত করতে এই দুই নেতা শিগগিরই তাদের সঙ্গে আলোচনা বসবেন। আসন বণ্টন ছাড়াও নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রক্রিয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে বলে সূত্রটি জানিয়েছে। তবে সমমনাদের সঙ্গে আসন বণ্টন কবে নাগাদ হবে তা এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে মানবজমিনকে জানিয়েছেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না মানবজমিনকে বলেন, আসন নিয়ে সেভাবে এখনো বিএনপি’র সঙ্গে আমাদের আলোচনা শুরু হয়নি। তবে শিগগিরই আলোচনা হবে। আমাদের সঙ্গে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। দু’বার এই বৈঠক হয়েছে। এরমধ্যে বৈঠকে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুও ছিলেন। এসব বৈঠকে নির্বাচনের অংশগ্রহণের প্রক্রিয়াসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে আসন নিয়ে বিএনপি’র সঙ্গে আমাদের আলোচনা হবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক মানবজমিনকে বলেন, আসন বণ্টন নিয়ে নির্দিষ্ট অগ্রগতি এখনো হয়নি। বিএনপি কয়েকদিন সময় চেয়েছে। তারা নিজেরা আলাপ-আলোচনা করছেন। একইসঙ্গে যাচাই-বাছাই করছে। আশা করছি, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বসে এ বিষয়ে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আমরা পৌঁছাতে পারবো।
অন্যদিকে নির্বাচনে বিএনপি ও সমমনা জোটের ইসলামী দলগুলোর ১২ নেতা প্রার্থী হতে পারেন। এরমধ্যে ইতিমধ্যে কয়েকজনকে গ্রিন সিগন্যালও দেয়া হয়েছে। ওদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’র সঙ্গে বিএনপি’র আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা চলছে বলে দল দু’টির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।