Image description

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের গঠনমূলক সমালোচনা করায় সংগঠনের কোনো পদে না থাকা কর্মী ইসরাফিল আলম রাফিলের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ তুলে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে জবি শাখা ছাত্রদল।

‎আজ ‎রবিবার (১৬ নভেম্বর) শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদি হাসান হিমেল ও সদস্য সচিব শামসুল আরেফিনের নির্দেশনায় দপ্তর সম্পাদক মো. মোজাম্মেল মামুন ডেনি স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়।

‎নোটিশে বলা হয়, প্রাথমিক সদস্য হয়েও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগের বিষয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের উপস্থিতিতে লিখিত ব্যাখ্যা জমা দিতে হবে। ‎তবে অভিযুক্ত ইসরাফিল আলম রাফিলের দাবি, তিনি ছাত্রদলের কোনো পদেই নেই। তাই পদবিহীন একজন কর্মীকে শোকজ করা সাংগঠনিক অদক্ষতার পরিচয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। তার দাবি, “দলের স্বার্থে যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা বা নীতিগত মতামত দেওয়া কখনোই শৃঙ্খলা ভঙ্গ নয়; বরং এটি সংগঠনের উন্নতির অংশ।

শাখা ছাত্রদল কর্মি ইসরাফিল আলম বলেন, ২০১৮ সালে প্রথম বর্ষে পড়াকালীন ছাত্রলীগের হাতে টানা ২–৩ ঘণ্টা জবি লাল বাসের দ্বিতীয় তলায় নির্যাতনের শিকার হয়েছি। রক্তাক্ত অবস্থায় বিভিন্ন সময়ে হুমকি-ধমকিও পেয়েছি। অথচ জবি ছাত্রদলের ঘোষিত ৪৫৫ সদস্যের কমিটিতে ছাত্রলীগ–শিবির, বিবাহিত, চাকরিজীবী সবাই স্থান পেয়েছে। ৫ আগস্টের পর যাদের বড় নেতা বানানো হলো, তাদের বিচারে আমাকে ‘প্রাথমিক সদস্য’ বলা হচ্ছে! কারণ দর্শানোর নোটিশ কখন, কেন এবং কোন অবস্থায় দেওয়া হয় তা কি তারা জানেন?

‎তিনি আরও বলেন, আসন্ন জকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের প্যানেলে শীর্ষ পদে অন্য সংগঠনের কাউকে না দিয়ে নিজ সংগঠনের যোগ্যদের মনোনয়ন দেওয়ার পরামর্শই যদি ‘শৃঙ্খলা ভঙ্গ’ ধরা হয়, তবে তা গঠনতত্ত্বের মূল চেতনাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে। কারণ ছাত্রদল গঠনতত্ত্বের অনুচ্ছেদ–৩০ এ স্পষ্টভাবে বলা আছে সংগঠনের ভেতরে শৃঙ্খলা, দায়িত্ববোধ ও উন্নতি নিশ্চিত করতে গঠনমূলক আলোচনা ও আত্মসমালোচনা জরুরি।