অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীর নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে- এমন খবর ছড়িয়েছে আজ রোববার (১৬ নভেম্বর)। সেখানে বলা হয়, মেহজাবীন চৌধুরী এবং তার ভাই আলিসান চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩-এর বিচারক আফরোজা তানিয়া এই পরোয়ানা জারি করেন। মামলার বাদী আমিরুল ইসলাম রোববার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির তথ্য সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন। তার অভিযোগ, দুই আসামী ২৭ লাখ টাকার প্রতারণা করেছেন তার সঙ্গে।
তবে অভিনেত্রী মেহজাবীন দাবি করছেন, এই খবর ভিত্তিহীন। তিনি আজ রোববার দুপুরে ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে এই দাবি করেন।
মেহজাবীন লেখেন, ‘অনলাইনে আমার নাম ব্যবহার করে কিছু ভিত্তিহীন ‘মামলা’ সংক্রান্ত খবর ছড়িয়ে পড়ছে। আমার সকল সাংবাদিক সহকর্মীদের প্রতি অনুরোধ, দয়া করে কোনো প্রকার যাচাইহীন ও সত্যতা-বিহীন সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত থাকুন।’
মেহজাবীনের এই স্ট্যাটাস প্রকাশের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় তার ভক্তরা অভিনেত্রীর প্রতি সমর্থন জানাচ্ছেন। অনেকেই মন্তব্যে জানিয়েছেন, মেহজাবীন নির্দোষ এবং তার বিরুদ্ধে ছড়ানো বিভ্রান্তিকর খবরগুলো বন্ধ হওয়া উচিত।

ভাই আলিশান চৌধুরীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর পোস্টের স্ক্রিনশট
এদিকে খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে মেহজাবীন চৌধুরীর ছোট ভাইয়ের নাম আলিসান চৌধুরী। ২০১৬ সালে এই ভাইয়ের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি ছবিসহ পোস্ট করেছিলেন মেহজাবীন।
প্রসঙ্গত, মেহজাবীনের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, আমিরুল ইসলামের সঙ্গে দীর্ঘদিন পরিচয়ের সুবাদে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে মেহজাবীন চৌধুরীর নতুন পারিবারিক ব্যবসার পার্টনার হিসেবে রাখবে বলে নগদ অর্থে এবং বিকাশের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে ২৭ লাখ টাকা দেন। এরপর মেহজাবীন ও তার ভাই দীর্ঘদিন ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ না নেওয়ায় আমিরুল ইসলাম বিভিন্ন সময় টাকা চাইতে গেলে আজকে দিব, কালকে দিবো বলে দীর্ঘদিন কালক্ষেপন করে।
পরে গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে পাওনা টাকা চাইতে যান আমিরুল ইসলাম। তাকে ১৬ মার্চ হাতিরঝিল রোডের পাশে একটি রেস্টুরেন্টে আসতে বলেন। ওইদিন ঘটনাস্থলে গেলে মেহজাবীন ও তার ভাইসহ আরও অজ্ঞাতনামা চার-পাঁচজন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তারা বলেন, ‘এরপর তুই আমাদের বাসায় টাকা চাইতে যাবি না। তোকে বাসার সামনে পুনরায় দেখলে জানে মেরে ফেলব।’
এসব কথা বলে তারা আমিরুলকে জীবননাশের হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। বিষয়টি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট ভাটারা থানায় গেলে কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়।
এ ঘটনায় আমিরুল ইসলাম গত ২৪ মার্চ ফৌজদারী কার্যবিধির ১০৭/১১৭(৩) ধারায় ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন।
মামলাটিতে আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার দিন ধার্য ছিল, তবে তারা উপস্থিত না হওয়ায় গত ৩ নভেম্বর আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। ১০ নভেম্বর সেই পরোয়ানা জারি করা হয়। গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে ১৮ ডিসেম্বর।