Image description

সংসদীয় আসনের সীমানা নিয়ে ইসির সিদ্ধান্তের বিপক্ষে আদালত হস্তক্ষেপ করছে, এটি কাম্য নয়। কারণ নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন ও স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান। তাই বিষয়টি তাদের এখতিয়ারেই থাকা উচিত। অতীতের মতো প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন জাতি মেনে নেবে না। তাই নির্বাচনে সবার লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতে নির্বাচন কমিশনকে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করা উচিত।

রবিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে আয়োজিত ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সংলাপে এসব অভিমত ব্যক্ত করেন ছয়টি রাজনৈতিক দলের নেতারা।

সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রথম ধাপের সংলাপে গণফোরাম, গণফ্রন্ট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) এবং বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

এ সময় সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন ও নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদসহ অন্যান্য সচিব ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সংলাপে প্রতিটি দলের প্রতিনিধিরা আলাদা আলাদা করে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেন।

গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘গণভোট যেন শেষ পর্যন্ত হাস্যকর কিছুতে পরিণত না হয়, সেই বিষয়ে ইসিসহ সংশ্লিষ্টদের লক্ষ্য রাখতে হবে।’ তিনি নির্বাচনে সব দলের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতের দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘বিগত সরকারের সময়ে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছিল। এবার সেটা হলে দেশের মানুষ মেনে নেবে না।’

ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী বলেন, ‘দীর্ঘ ১৫ বছর জনগণের ভোট দেওয়ার পরিবেশ ছিল না। ফ্যাসিবাদী শক্তি একতরফা নির্বাচন করেছে। তাই আসন্ন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হওয়ায় মানুষের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। তবে এখনও প্রতিনিয়ত আস্থাহীনতা কাজ করছে। কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচনি বৈতরণী পার হতে চায় যেনতেনভাবে। এমনটি হলে জনমনে ক্ষোভ আরও বাড়বে। এ জন্য কমিশনের আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।’

ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি সাখাওয়া হোসেন রাজি বলেন, ‘৫ আগস্টের আগে ফ্যাসিস্ট শক্তির সহায়তায় একটি চক্র আমাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় দখল করেছিল। আমাদের নেতাদের জেলে দেওয়া হয়। আর তারা ৫ আগস্টের পর আত্মগোপনে ছিল। অথচ আজ তারা এখানে এসে আমাদের আসন দখল করেছে। এতে আমরা ব্যথিত হয়েছি। যারা তিনটি নির্বাচনে ভোটাধিকার হরণ করেছে, তারা কীভাবে ভোট চাইবে তা বোধগম্য।’

গণফ্রন্টের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ব্যারিস্টার মো. আকমল হোসেন বলেন, ‘অতীতে তিনটি নির্বাচনে দেশের মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। এবার মানুষ উৎসবমুখর ভোটে শামিল হওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে।’ এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতমূলক আচরণ পরিহারের আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব, শাহ মোহাম্মদ আসলাম হোসাইন বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে দেশের মানুষ হতাশ হবে। তাই কমিশনকে নির্বাচন বিতর্কিত করার যেকোনও অপচেষ্টা রুখে দিতে হবে।’