শেরপুর সরকারি কলেজে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের প্রভাষকরা পদোন্নতির দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন। এতে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম। আজ রবিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল থেকে শুরু হওয়া অনির্দিষ্টকালের এ কর্মবিরতির ফলে ইনকোর্স পরীক্ষা দিতে এসে ডিগ্রির অনেক শিক্ষার্থী ক্লাসরুম বন্ধ পেয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হন।
শিক্ষার্থীরা জানান, নির্ধারিত সময়ে তারা ইনকোর্স পরীক্ষার জন্য কলেজে এলেও কোথাও কোনো শিক্ষক বা পরীক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে জানা যায়, প্রভাষকরা ‘নো প্রমোশন, নো ওয়ার্ক’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সব ধরনের অ্যাকাডেমিক দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
প্রভাষকদের অভিযোগ, বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ, বিভাগীয় পরীক্ষা, সিনিয়র স্কেল পরীক্ষা, সন্তোষজনক এসিআরসহ পদোন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় সব যোগ্যতা পূরণ করেও বছরের পর বছর তাদের ফাইল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আটকে আছে। অনেকের চাকরিজীবনের ১০ থেকে ১৩ বছর পার হলেও এখনো তারা পদোন্নতি পাননি।
আন্দোলনকারীরা জানান, সরকারি বিধিমালা অনুযায়ী পাঁচ বছর চাকরি পূর্ণ হলে পদোন্নতির সুযোগ থাকার কথা। অন্যান্য ক্যাডারে নিয়মিত পদোন্নতি হলেও বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের প্রভাষকরা দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। দ্রুত পদোন্নতির আদেশ জারি না হলে তারা কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।
কর্মবিরতির কারণে কলেজের ক্লাস, রুটিন পরীক্ষা ও ইনকোর্স পরীক্ষাসহ সব অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম কার্যত স্থবির হয়ে গেছে। শিক্ষার্থীরা বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।