সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সালেহ আকরাম সম্রাট ঢালী বলেছেন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আমানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে একটা মামলা দায়ের করেছে মানিকগঞ্জের এক নারী বিএনপিকর্মী। তিনি যে তারিখে ধর্ষণ হয়েছে দেখিয়েছেন সেই তারিখে আমান রাকসু নির্বাচনের সাংগঠনিক দায়িত্বে রাজশাহী ছিলেন। পর্যাপ্ত ভিডিও ও সিসিটিভি ফুটেজ আছে।
রবিবার (৯ নভেম্বর) রাতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সালেহ আকরাম সম্রাট ঢালী নিজের ফেসবুক পোস্টে এসব কথা বলেন।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আমানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে একটা মামলা দায়ের করেছে মানিকগঞ্জের এক নারী বিএনপিকর্মী। এর আগেও এই একই নারী একই রকম অভিযোগের ভয় দেখিয়ে ছাত্রদলের একাধিক সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি-সেক্রেটারিকে ব্লাকমেইল করেছে। ইজ্জতের ভয়ে তারা সবাই চুপ থেকেছে।
তিনি বলেন, আমান এই নারীকে চ্যালেঞ্জ করেছে।
ফলস্বরূপ, এই নারী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের কাছে বিচার চেয়েছে। ইলিয়াস হোসেন এই বিষয়টি নিয়ে একটি ভিডিও ছেড়েছে আজকে। ভিডিওতে ইলিয়াস হোসেনের ধৈর্য্যচুতি লক্ষণীয়। তবে, মামলাটা যে মিথ্যা সেটা কথোপকথন থেকেই মোটামুটি স্পষ্ট।
প্রথমত, ওই নারী যে তারিখে ধর্ষণ হয়েছে দেখিয়েছে, সেই তারিখে আমান রাকসু নির্বাচনের সাংগঠনিক দায়িত্বে রাজশাহী ছিল। পর্যাপ্ত ভিডিও ও সিসিটিভি ফুটেজ আছে।
দ্বিতীয়ত, ওই নারী দাবি করেছে যে তার মামলাটি থানায় না নেওয়ায় সে আদালতে মামলা করেছে। সাংবাদিক ইলিয়াস জিজ্ঞেস করেছেন, আপনি কবে থানায় গিয়েছিলেন? মেয়েটি উত্তরে বলেছে প্রায় দুই মাস আগে। অথচ ঘটনার তারিখ দেখানো মাত্র এক মাস আগের।
তৃতীয়ত, আমি নিজে মামলার ফাইলিং ল’ইয়ার অ্যাড. রিপন মিয়ার সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, এ মামলার কিছুই তিনি লিখেন নাই। শুধু সাইন করেছেন ফাইলিং ল’ইয়ার হিসাবে। মামলা ড্রাফট করেছে অ্যাড. রানা আহমেদ শান্ত।
অ্যাড. রানা আহমেদ শান্তর সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, তিনি এ মামলা ড্রাফটও করেন নাই, ফাইলও করেন নাই। তবে, বাদি পলি আক্তার তার কাছে এসেছিল, তিনি যখন বুঝতে পেরেছেন যে, মামলাটি মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, তখন তিনি তা ফাইল করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
থানায় কথা বলে জানা গেছে যে, পলি আক্তার এর আগেও তার প্রাক্তন স্বামীসহ অনেকের বিরুদ্ধেই এরকম অভিযোগ করেছেন।
আমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটা যে সম্পূর্ণ মিথ্যা, তার আরো বহু অকাট্য প্রমাণ মামলার বডিতেই আছে। তদন্তের স্বার্থে আপাতত চেপে গেলাম। কিছু অডিও হাতে এসেছে।
বহুদিন আগে শুনেছিলাম, দোজখের সীমানায় উঁচু উঁচু প্রাচীর থাকবে। তবে, বাঙালিদের যে দোজখে রাখা হবে সেখানে কোনো প্রাচীর থাকবে না। কারণ, এক বাঙালি যখনই প্রাচীর বেয়ে কতোদূর উঠবে, তখনই অন্য বাঙালিরা তার পা টেনে তাকে দোজখে নামায় আনবে।
খোদা দলের অভ্যন্তরীণ সব দোজখবাসীকে হেদায়েত দান করুক। আমীন।