আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। গতকাল রোববার রাজধানীর গ্রিন রোডে ধানমন্ডি থানা নির্বাচন অফিসে ঢাকা-১০ আসনের ভোটার স্থানান্তরের আবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, যেহেতু ঢাকা থেকে নির্বাচন করবো এটা মোটামুটি নিশ্চিত। সেই জায়গা থেকে নিজের ভোটটাও ঢাকায় নিয়ে আসা, কারণ ভোটটা যেন অপচয় না হয়। আমি যদিও ভোটার হয়েছি আগে, কিন্তু কোনো নির্বাচনে ভোট দিতে পারিনি। ভোটার হওয়ার পর দুটি নির্বাচন হয়েছে ২০১৮ সালে এবং ২০২৪ সালে। এই সময়ে কেউই ভোট দিতে পারেনি। ভোট দিতে যেন পারি সেটা নিশ্চিত করলাম। নির্বাচন কোথা থেকে করবো এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে ঢাকা থেকে করবো।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত পরিকল্পনা স্বতন্ত্র নির্বাচন করার। তারপর দেখা যাক। আপনার জন্য কি বিএনপি আসনটা ফাঁকা রেখেছে? কোনো ধরনের আলোচনা চলছে কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এই উপদেষ্টা বলেন, আমার কারও সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা হয়নি। কেউ কোনো আসন ফাঁকা রাখলো কি রাখলো না সেটা আমার জানার বিষয় নয়। ব্যক্তিগতভাবে আমার সিদ্ধান্ত, এককভাবেই নির্বাচন করবো।
‘নির্বাচনের বিষয়টি একান্তই নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার’
আশুলিয়া (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, নির্বাচনের বিষয়টি একান্তই নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার, এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না বলে মন্তব্য করেছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। গতকাল রোববার আশুলিয়ার বিকেএসপিতে যুবকদের আত্মরক্ষামূলক মৌলিক প্রশিক্ষণ প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আশুলিয়ায় অবস্থিত বিকেএসপিতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ও বিকেএসপি কর্তৃক পরিচালিত এ অনুষ্ঠান যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপস্থিত থেকে ঢাকা বিকেএসপির ১ম ব্যাচের উদ্বোধনীর মধ্য দিয়ে প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
যুবকদের আত্মরক্ষামূলক মৌলিক প্রশিক্ষণে মূলত জুডো, কারাতে, তায়কোয়নডো ও শ্যূটিং (এয়ার গান) বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এ প্রশিক্ষণের লক্ষ্য- যুবকদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি, শারীরিক ভারসাম্য অর্জন, শৃঙ্খলা ও আত্মনিয়ন্ত্রণ, শারীরিক সক্ষমতা অর্জন এবং জীবনে ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার। অনলাইন নিবন্ধনে ফাস্ট কাম ফাস্ট সিলেকশনের ভিত্তিতে সারা দেশের ন্যূনতম এসএসসি উত্তীর্ণ, শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ ও প্রশিক্ষণ গ্রহণে সক্ষম ১৮-৩৫ বছর বয়সের বাংলাদেশের প্রকৃত নাগরিকগণ ১৫ দিনের সম্পূর্ণ আবাসিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছেন। যুবকদের জন্য ১০২টি ব্যাচে ৮২৫০ জন এবং যুবতীদের ১২টি ব্যাচে ৬০০ জনসহ সর্বমোট ১১৪টি ব্যাচে তিন বছরের বিভিন্ন সময়ে ৮৮৫০ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। প্রশিক্ষণ চলাকালীন সময়ে প্রশিক্ষণার্থীদের আবাসন, আহার, ট্র্যাকসুট, টি-শার্ট, কেডস, প্রশিক্ষণ ভাতাসহ প্রশিক্ষণ শেষে সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে।
এ সময় বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মুনীরুল ইসলাম, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ ও বিকেএসপির সকল কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।