চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর নির্বাচনি প্রচারণার সময় গোলাগুলিতে অংশ নেয় ৬ 'শুটার'। তাদের কেউ কেউ ছিল মুখোশ এবং হেলমেট পরা। তিনটি মোটর সাইকেলে ঘটনাস্থল আসে তারা। প্রায় চার-পাঁচ মিনিট এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে দ্রুত পালিয়ে যায় তারা। খুব কাছে থেকে ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ সরোয়ার বাবলাকে গুলি করে তারা। গোলাগুলিতে পিস্তল, শটগান ব্যবহার করে সন্ত্রাসীরা। বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সরেজমিন ঘটনাস্থলে গেলে প্রত্যক্ষদর্শীরা দেশ রূপান্তরকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে বুধবার বিকালে সাড়ে ৫টার দিকে নগরের বায়েজিদ বোস্তামি থানার চালিতাতলী এলাকায় এসব অস্ত্রধারী গুলি চালায়। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ এবং তার সঙ্গে নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নেওয়া ‘সন্ত্রাসী’ সরোয়ার হোসেন বাবলা। খুব কাছে থেকে তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে সন্ত্রাসীরা। সঙ্গে সঙ্গেই মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন বাবলা। ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, তিনটি মোটরসাইকেলে করে আসা ৬ যুবক এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, গণসংযোগের সময় খুব কাছে থেকে বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহকে লক্ষ করে পিস্তল দিয়ে গুলি ছোড়া হয়। রক্তে ভিজে পড়ে থাকা প্রচারণার ব্যানার।
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্র জানায়, বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বায়েজিদ থানাধীন চালিতাতলী এলাকায় বিএনপি প্রার্থী ও নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে উঠান বৈঠক করেন। পরে গণসংযোগ করে সবার সঙ্গে হাত মেলাচ্ছিলেন। এসময় একটি গলির দিক থেকে এলোপাতাড়ি গোলাগুলি শুরু হয়৷ ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে গণসংযোগ। বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহর পায়ে ছররা গুলি লাগে। আহত অবস্থায় দ্রুত তাকে অক্সিজেন এলাকায় বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী আবদুল মান্নান বলেন, 'তিনটা মোটরসাইকেলে করে ৬জন আসে। তারা ছিল হেলমেট পরা৷ কারো মুখে ছিল মাস্ক। তাদের সবার হাতে ছিল পিস্তল ও শটগান। মিনিট চারেক গুলি ছোড়ে তারা৷'
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, দোকানে বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। এ সময় তার দিকে লক্ষ করে পিস্তল দিয়ে গুলি করে এক সন্ত্রাসী। পিস্তল দিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে দ্রুত পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (উত্তর) উপ-পুলিশ কমিশনার আমিরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। একই ঘটনায় সরোয়ার বাবলা নামে এক ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়, পরে তিনি মারা যান।
চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ বলেন, অভিযুক্ত সন্ত্রাসীদের ধরতে পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।