যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডসের (কিউএস) এশিয়া ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যে এবারও শীর্ষ স্থান অধিকার করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। এশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যে ঢাবির অবস্থান ১৩২তম এবং দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অবস্থান ১৭তম। গত ৪ নভেম্বর এই র্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে কিউএস।
প্রতি বছর নভেম্বর মাসের শুরুতে তালিকাটি প্রকাশ করা হয়। এবার তালিকায় এশিয়ার ১ হাজার ৫২৯টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান করে নিয়েছে। তালিকার শীর্ষস্থানে রয়েছে দ্য ইউনিভার্সিটি অব হংকং। চীনের পিকিং ইউনিভার্সিটি তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
এ র্যাঙ্কিংয়ে প্রধানত একাডেমিক কার্যক্রম, পিএইচডিধারীর সংখ্যা ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বিবেচনা করা হয়েছে। এছাড়া কিউএস প্রতিবছর কয়েকটি মানদণ্ডের ভিত্তিতে পৃথিবীর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বার্ষিক একটি র্যাঙ্কিং প্রকাশ করে। সেই র্যাঙ্কিংয়ে সারাবিশ্বে ঢাবির অবস্থান ৫৮৪ তম।
র্যাঙ্কিংয়ের এই সাফল্যের জন্য উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানান। র্যাঙ্কিং কমিটির আহ্বায়ক প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ এই সাফল্যের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য, বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৬ সদস্যের একটি কমিটি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান-এর সার্বিক দিক-নির্দেশনায় এই কমিটি কাজ করছে। এই কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ। কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়ন, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও গবেষক বিনিময়ের জন্য সৃষ্টিশীল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
প্রসঙ্গত, গতবছরও কিউএস এশিয়া র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যে শীর্ষস্থান অধিকার করেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সম্প্রতি প্রকাশিত টাইমস হায়ার এডুকেশন র্যাঙ্কিংয়েও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের মধ্যে যৌথভাবে শীর্ষস্থান অধিকার করে।
এ র্যাঙ্কিংয়ে ২০০ ধাপ এগিয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বে ১০০০ এর মধ্যে অবস্থান করছে। এছাড়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫ শিক্ষক ও গবেষক ২০২৫ সালে বিশ্বের শীর্ষ ২ শতাংশ সায়েন্টিস্ট-২০২৫ (ওয়ার্ল্ড টপ টু পারসেন্ট সায়েন্টিস্ট) তালিকায় স্থান পেয়েছেন, যা দেশে সর্বোচ্চ।