ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করার পদ্ধতি এখনো নির্ধারিত হয় নাই। যে সংস্কারের জন্য গত জুলাইয়ে ছাত্র জনতা রক্ত দিলো, সেই সংস্কারের বিষয়ে আদতে কিছুই করা যায় নাই। এটাই জনমনে হতাশা তৈরি করছে।
সোমবার বিকেলে পুরানা পল্টনে ইসলামী আন্দোলন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত চেয়ারম্যান পরিষদের বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন চেয়ারম্যান পরিষদের সভাপতি, বরিশাল সদরের জাগুয়া ইউনিয়ন পরিষদে হাতপাখা প্রতিকে নির্বাচিত চেয়ারম্যান মুফতি হেদায়েতুল্লাহ আজাদী।
ইউনুছ আহমাদ বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ দেশের সর্বপ্রান্তিক স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা। ব্যক্তি পর্যায়ে রাষ্ট্রের সেবা পৌঁছে দেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা। নাগরিকের সঙ্গে রাষ্ট্রের সম্পর্ক, দেনা-পাওয়া, অধিকার এবং ভোটের মাধ্যমে যে রাষ্ট্রীয় সম্পদের সংরক্ষণ করার বিষয়গুলোতে যদি চেয়ারম্যানরা তৃণমূলের নাগরিকদের সচেতন করে তোলেন তাহলে কারো সাধ্য নাই বাংলাদেশের ভাগ্য নিয়ে তামাশা করার। তাই আগামী নির্বাচনে চেয়ারম্যান পরিষদকে গুরু দায়িত্ব বহন করতে হবে।
তিনি বলেন, যারা হাতপাখা প্রতিকে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন আপনাদের দায়িত্ব অনেক বেশি। রাষ্ট্র অর্পিত দায়িত্বের পাশাপাশি ইসলামের সুমহান আদর্শের বাস্তবায়ন করতে হবে আপনাদের। ফলে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আল্লাহর রহমত কামনা করতে হবে।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলনের যুগ্মমহাসচিব ও ঢাকা উত্তরের সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি মোস্তফা কামাল, সহ দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট বরকতুল্লাহ লতিফ, জাতীয় উলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সেক্রেটারি মুফতি রেজাউল করীম আবরারসহ চেয়ারম্যান পরিষদের নেতারা।