ড. মির্জা গালিব
মিথ্যা কথা বলে, প্রোপাগান্ডা করে যদি কাউকে থামিয়ে রাখা যেত, তাইলে আওয়ামীলীগই ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকত বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী সময়ে জামায়াত-শিবিরকে সিস্টেমেটিকভাবে ভিলিফাই করা হয়েছিল। মিথ্যার সাথে আরো মিথ্যা মিশায়ে এক ধরনের ফিকশন বানানো হয়েছিল। দুঃখজনক হইল, অনেকে এখনও একই কাজ করতে চাইতেছেন।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এসব কথা বলেছেন মির্জা গালিব। তিনি বলেছেন, গতকাল এক টকশোতে আমার একজন সহ-আলোচক বললেন, সিরাজগঞ্জ জামায়াতের সেক্রেটারি নাকি বলছেন, ‘আওয়ামী লীগের পালিয়ে যাওয়া লোকদের স্ত্রীদের ওপর জামায়াতের হক আছে’। আজকে সিরাজগঞ্জ জামায়াতের সেক্রেটারি আমাকে ফোন দিয়ে জানালেন, এ রকম কোনও কথা উনি বলেননি।
তিনি বলেন, ‘আমি একটা ভিডিওতে দেখলাম উনি বরং বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ ভোটাররা ৫ আগস্টের পরে আমাদের দ্বারা কোন ক্ষয়-ক্ষতির শিকার হননি, এই জন্য তারা আমাদের ভোট দিতে পারে। এখন যিনি অভিযোগ করছেন যে, সিরাজগঞ্জ জামায়াতের সেক্রেটারি ওই কথা বলছেন, তার প্রমাণ হাজির করা উচিত। আর যদি যাচাই-বাছাই ছাড়া ফেসবুকে ফটোকার্ড দেখে ভুল করে এইরকম অভিযোগ করে থাকেন, তাহলে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়া উচিত।
মির্জা গালিব বলে, আরেকটা টকশোতে বিএনপি চেয়ারপারসনের একজন উপদেষ্টা জামায়াতের সমালোচনা করতে গিয়ে বললেন, জামায়াত নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলে শিবিরের যে পরিমাণ অস্ত্র আছে, সেটা দিয়ে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় দখল করা যাবে। অথচ, আমি খালেদ মহিউদ্দিনের সাথে এক টকশোতে মাসুদ ভাইকে বলতে শুনছি, এ কথা শিবিরের ব্যাপারে অন্যরা বলে বেড়াইত, উনি সেইটা কোট করেছিলেন মাত্র।
এক রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা আরেক রাজনৈতিক দলের সমালোচনা করবে- এটা স্বাভাবিক উল্লেখ করে মির্জা গালিব বলেন, সমালোচনা করতে গিয়ে ইচ্ছে করে মিথ্যা কথা বলবে, প্রপাগান্ডা করবে- এইটা অগ্রহণযোগ্য। মিথ্যা কথা বলে, প্রোপাগান্ডা করে যদি কাউকে থামিয়ে রাখা যাইত, তাইলে তো আওয়ামী লীগই ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকত।