Image description

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নকশাবিদ স্বপন ভৌমিকের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। নকশাবিদ হলেও ইমারত পরিদর্শকের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের সময় আওয়ামী কর্মচারী লীগের যুগ্ম সম্পাদক থাকাকালে বাড়তি সুবিধা নেওয়ার জন্য এ দায়িত্ব নেন তিনি। অনিয়মের বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও তার বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে সিডিএতে আবেদনও করেছেন।

জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৬ নেতা স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগপত্র গত ৯ সেপ্টেম্বর সিডিএতে জমা দেওয়া হয়। অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সিনিয়রিটি লঙ্ঘন করে স্বপন ভৌমিক অনন্যা আবাসিক এলাকায় একটি প্লট বরাদ্দ নেন। তৎকালীন চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম সিডিএ কর্মচারী লীগের প্রভাবশালী কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে তাকেও ওই প্লট বরাদ্দ দেন।

অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, আওয়ামী কর্মচারী লীগের যুগ্ম সম্পাদক থাকাকালে স্বপন ভৌমিক প্রভাব খাটিয়ে ইমারত পরিদর্শকের অতিরিক্ত দায়িত্ব নিজের নিয়ন্ত্রণে নেন। মূল পদে দায়িত্ব পালনে গাফিলতির পাশাপাশি বহুতল ভবন নির্মাণে অনিয়ম, ঘুস লেনদেন ও বিভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন তিনি।

গত বছর সরকার পরিবর্তনের পর সিডিএর নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ ও বোর্ড গঠন করা হয়। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ অবস্থায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন।

কঠোর শাস্তির পাশাপাশি অনন্যা আবাসিক এলাকার প্লট বরাদ্দ বাতিল এবং ইমারত পরিদর্শকের অতিরিক্ত দায়িত্ব থেকেও অব্যাহতির দাবি জানিয়েছেন তারা। এছাড়া সাময়িক বরখাস্ত (সাসপেন্ড) করারও দাবি জানানো হয়েছে।

স্থানীয় এক নারীও ইমারতসংক্রান্ত বিষয়ে স্বপনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই নারী আমার দেশকে জানান, আমি ইমারতসংক্রান্ত একটি বিষয়ে স্বপনের কাছে অভিযোগ করি। কিন্তু তিনি সেটার সমাধান না করে উল্টো আমাকে দোষারোপ করে নোটিস পাঠান।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে স্বপন কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

সিডিএ চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল করিম বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণ হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।