Image description
 

নোয়াখালীতে কোরআন প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামে বিএনপি ও যুবদলের সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির।

 

সোমবার যোহরের নামাজের পর শিবির ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেট থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শাহবাগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

 

সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ। যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর পূর্ব সভাপতি আসিফ আব্দুল্লাহ ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিবগাতুল্লাহ বলেন, “প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইসলামী ছাত্রশিবির তার কার্যক্রমের কারণে দেশের ছাত্রসমাজের আস্থা অর্জন করেছে। শিক্ষার্থীরা শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত ছাত্রশিবিরের কার্যক্রমকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে গ্রহণ করেছে।”

তিনি বলেন, “ছাত্রশিবির মেধাবীদের সংবর্ধনা দেয়, পাশাপাশি কোরআন শিক্ষারও আয়োজন করে। নোয়াখালীতে কোরআন প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামে বিএনপি ও যুবদলের হামলায় বহু শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।”

তিনি আরও বলেন, “ইসলামী ছাত্রশিবির সবসময় ইসলামের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ১৯৮৫ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জে কোরআনের জন্য শিবিরের কর্মীরা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। কোরআনের জন্য জীবন দিতে ছাত্রশিবির কখনো পিছপা হবে না।”

বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “ফ্যাসিবাদী আচরণ পরিহার করুন এবং কোরআনের কার্যক্রমে বাধা প্রদান থেকে বিরত থাকুন। নতুন প্রজন্মের প্রত্যাশা বুঝে দায়িত্বশীল আচরণ করুন।”

তিনি ছাত্রশিবিরের কর্মীদের আহ্বান জানান— “তারা আমাদের একটি দারসুল কোরআন বন্ধ করেছে; আমরা সারাদেশে লক্ষ দারসুল কোরআন চালু করবো।”

সমাবেশ থেকে হামলাকারীদের ছাত্রশিবিরের দেওয়া ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটামের মধ্যে গ্রেপ্তার ও সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডে জড়িতদের বিচার দাবি করা হয়।

বিক্ষোভ-পরবর্তী সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন— কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ, ছাত্র অধিকার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, তথ্য সম্পাদক আবু সাঈদ সুমন, ঢাকা মহানগর পশ্চিম সভাপতি হাফেজ আবু তাহের ও দক্ষিণ সভাপতি হেলাল উদ্দিন।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় শিল্প ও সংস্কৃতি সম্পাদক হাফেজ আবু মুসা, প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক রিয়াজুল ইসলামসহ ঢাকা মহানগর ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতৃবৃন্দ।